কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি পালন

 



দীপঙ্কর সমাদ্দার, খরদহ: ১৯৫১ সালে ২রা জানুয়ারি খড়দহ পৌরসভার অন্তর্গত এলাকায় কল্যাননগর জনপদের প্রতিষ্ঠাতা দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ মাত্র ৫ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কল্যাননগর বিদ্যাপীঠ স্থাপন করেন। ‌ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ এ বছর ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল। যেখানে মহাসমারোহে গুণী মানুষদের উপস্থিতিতে এক বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পঁচাত্তরতম বর্ষের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো। বিদ্যালয়ের প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কুলদা প্রসাদ রায় ও প্রবীণ ছাত্রী রেণুকা রায়ের হাত দিয়ে এই দিনের এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দেবেন্দ্রনাথ ঘোষের স্মৃতিতে মাল্যদান করেন উপস্থিত অতিথি এবং বিদ্যালয়ের প্রবীণ ব্যক্তিত্বরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এক বিশেষ মহিমান্বিত করলেন সাংসদ সৌগত রায় সহ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কর্মযোগি দেবেন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়েে মিনতি বসু ও পৌত্র দেবদত্ত ঘোষ। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্র সুকণ্ঠ বনিক এবং খড়দহ পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান সায়ন মজুমদার। এছাড়াও এই দিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যতম একজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্দীপ কুমার মৃধা। কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জানান, সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্লাটিনাম জুবলিকে স্মরণীয় করে রাখা হবে। আয়োজক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্র সন্দীপ চক্রবর্তী জানান এই প্লাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠান নিয়ে প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষক এবং বর্তমান ছাত্র শিক্ষকেরা যেভাবে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে, কারণ প্রত্যেকের ছোটবেলার পঞ্চম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি একটা আলাদা আবেগ থাকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন স্মৃতি সারা জীবন মনের মধ্যে বিরাজ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষক  হরিদাস বৈদ্য ও শিক্ষিকা  মধুমিতা চক্রবর্তীর প্রশিক্ষণে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা উদ্বোধন সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। স্কুলের প্রত্যেক বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষকদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের উপস্থিতিতে সমগ্র ৭৫ তম বর্ষের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

 বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংখ্যা ১৬০০ র ও বেশি। উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিজ্ঞান এবং বৃত্তিমূলক শাখাসহ বহুমুখী কর্মকাণ্ড সারা বছর ধরে এই বিদ্যালয় পরিচালিত হয়। ছাত্র সংখ্যার নিরিখে এই বিদ্যালয়টি খড়দহ পৌর এলাকার সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি খুব সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করলেন স্কুলের শিক্ষক কৃশানু ভট্টাচার্য।

Comments

Popular posts from this blog

‌বন্যাদূর্গতদের সচেতনতা ‌শিবির

রাজ্যপালের করা রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতার দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

বাঘাযতীন বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল ক্লাবের ৭৫ ভূমি পুজো