Posts

Showing posts from May, 2021

ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালো অনির্বাণ বিশ্বাস

Image
  গোপাল দেবনাথ,পূর্ব মেদিনীপুর:   স্কাড সোসাইটি ও ক্লাস আই কিউ এর যৌথ উদ্যোগে অনির্বাণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বেঁচে থাকার রসদ পৌঁছে দেওয়া হয় সাইক্লোন বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায়। ঘরবাড়িহীন, নিঃশ্ব দুস্ত পরিবারের মানুষদের সাহায্যের জন্যে সরব হলেন স্কাড সোসাইটি ও ক্লাস আই কিউ এর সদস্যরা। তারা নিজেদের প্রচেষ্ঠায় যশ সাইক্লোন বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় কিছু ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেন।   রাজ্যজুড়ে অতিমারী চলাকালীন সময়েই আমাদের রাজ্যে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে উড়িষ্যার সাথে সাথে যশ সুপার সাইক্লোন তছনছ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার নূন্যতম পরিকাঠামো জলের তলায় চলে গেছে। এই প্রসঙ্গে চিত্র পরিচালক তথা সমাজকর্মী শতরূপা সান্যাল বলেন, যশ সাইক্লোন বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় (কন্ঠিবাড়ি, বজবজিয়া, মুকুটশিলা, দক্ষিণ কলমদানি) আজ আমাদের স্কাড সোসাইটি ও ক্লাস আই কিউ এর যৌথ উদ্যোগে, অনির্বাণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে, পৌঁছে দেওয়া হল বেঁচে থাকার রসদ ত্রিপল, চিঁড়ে, মুড়ি, বাতাসা, বিস্কুট, পানীয় জল, ORS সহ কিছু জামাকাপড়। স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, ঐ জায়গাগুলো এতটাই বিধ্বস্ত যে, অবিলম্বে আরো

ছুটি কাঁটাতে সাহায্যের নেশা রঘু-শুভর

Image
নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুরঃ   করোনা কালের মাঝে হঠাৎই এক ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়লো রাজ্যের ওপর। দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কা সামলাতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে মানব সমাজকে সেই স্ময় এলোমেলো করে দিলো ইয়াস। ইতিমধ্যে সরকারও তৎপর হয়ে উঠেছে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। শুরু হতে চলেছে ত্রাণ প্রকল্পও। বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা কিংবা নেতা মন্ত্রীরা ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে গেছেন। নিজেদের সাধ্যমত তারা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে। কিন্তু এই সংকটময় পরিস্থিতিত শিকার সমাজের আরেক শ্রেণীর মানুষেরাও। যারা দিনমজুর। রাস্তার ধারে একটু খালি জায়গায় ছোট্ট তাদের ঘুমটি। জোড়ে হাওয়া দিলে মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও হয়তো উড়ে যেতে পারে। সেই সমস্ত মানুষরা কেমন আছেন। তারা কিভাবে সংসার চালাচ্ছেন। কেউ খোঁজ নিতে যান না। কেউ এই পরিস্থিতির মাঝে ভাবছেনও না তাদের কথা। কিন্তু কর্মহীন, বেকার এই মানুষগুলো হাহাকার করছেন একটু খাবারের জন্যে। আজ আগরপাড়া অঞ্চলের দু'জন যুবক নিজেদের আয়ের একটু অংশ ব্যয়ে রাস্তার ধারে থাকা এই অসহায় দুস্ত পরিবারের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রদান করেন। ব্যার

মথুরাপুরে ৫০ শয্যার সেফ হোমের উদ্বোধন শুভাশিস চক্রবর্তীর

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন,  মথুরাপুর : করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শনিবার রায়দিঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতার উদ্যোগে মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কর্মতীর্থ বিল্ডিংয়ে উদ্বোধন করা হল ৫০ শয্যার কোভিড সেফ হোম। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে।করোনা আক্রান্ত রোগীদের ছন্দে ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। সেই কথা ভেবে এলাকার কোভিড আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এখানে ৫০ শয্যার সেফ হোম চালু করা হল। এখানে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন বসানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে। করোনা পজিটিভদের এখানে নিয়ে আসা হবে। সর্বদা চিকিৎসক, অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকবে।তাদের আর হাসপাতালে যেতে হবে না। উপস্থিত ছিলেন, রায়দিঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা, মন্দিরবাজার এর বিধায়ক জয়দেব হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য, নির্মল মজুমদার, মানবেন্দ্র হালদার, মথুরাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি বাপি হালদার প্রমুখ।

বিনামূল্যে আরও একটি ২৪ ঘন্টার অক্সিজেন পার্লার বেহালাতে

Image
সমীরণ দাস, কলকাতা :বেহালায় করোনা প্রথম পর্যায়ে প্রভাব দ্বিতীয় বারের তুলনায় ছিলো অনেক কম। দ্বিতীয় পর্যায়ে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু এক আতঙ্কের সৃষ্টি করে জনমানসে। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে l বেহালার ১২৯ ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীতে শুরু হলো ২৪ঘন্টার জন্য  চার শয্যার অক্সিজেন পার্লার সম্পূর্ন বিনামূল্যে। চারজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাবু এবং প্রশিক্ষিত নার্সদের তত্বাবধানে এই অক্সিজেন পার্লার চালু হয়েছে ক্লাব প্রাঙ্গণে।  অরবিন্দ পল্লী ক্লাবের সাথে এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মোট ছয়টি স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন। আরও একবার সমাজসেবী বেহালার মানুষের মুখ ভেসে উঠলো এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে।

ভারতের জাতীয় পতাকা-কে অবমাননার অভিযােগ উঠলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর বিরুদ্ধে!

Image
সৌমিক সান্যাল, বিশেষ প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়ঃ ভারতের জাতীয় পতাকা-কে অবমাননার অভিযােগ উঠলো  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর বিরুদ্ধে! "দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জাতীয় পতাকাকে শুধুমাত্র  ঘর সাজানাের জন্য ব্যবহার করছেন" অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযােগ  করে বসলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল। শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় পতাকার কেবল সবুজ অংশটিকেই বড় করে দেখানাে হয় এবং মাঝের সাদা অংশটিকে ছােট করে দেখানাে হয়। এ বিষয় প্রহ্লাদ পটেল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল যখনই বৈঠক করেন, তখনই আমার নজর ওনার চেয়ারের পিছনে রাখা জাতীয় পতাকার দিকে চলে যায়। প্রতিবারই দেখা যায় যে জাতীয় পতাকার মাঝের অংশটি সবুজ অংশে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ ও জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর।" মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে মুখ খােলেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বিপ্লবী রাসবিহারী বসু

Image
কখনও তাকে দেখা যেত এক শিখ পাঞ্জাবি ভদ্রলােকের বেশে ,মাথায় পাগড়ি ,মুখে চাপদাড়ি। কখনও তিনি শেরওয়ানি চোস্ত পরা উর্দুভাষী আফগান।কখনও বা কোট হ্যাট পরা এক ইংরেজ সাহেব।আবার কখনও কপালে তিলক কাটা মারাঠি ব্রাহ্মণ। ভাবতে অবাক লাগে,এত দ্রুত ছদ্মবেশ পালটাতেন কী করে ? শুধু ছদ্মবেশ নয় ,তার প্রকৃত নামটাও কতবার পালটাতে হয়েছিল তাকে। তিনি হলেন রাসবিহারী বসু।এক বিচিত্র কর্মোদ্যমী মহান বিপ্লবী।তিনি ছিলেন বিপ্লবীর বিপ্লবী।ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসে তার নাম সােনার অক্ষরে লেখা আছে। জন্ম: ২৫ শে মে, ১৮৮৬ সাল । সুবলদহ, পূর্ব বর্ধমান জেলা। প্রয়াণ : ২১ শে জানুয়ারী, ১৯৪৫ সাল। টোকিও, জাপান। রাসবিহারী বসু ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ শে মে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ প্রচলিত মতানুযায়ী, তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত তাঁর পৈতৃক গ্রাম সুবলদহে জন্মগ্রহণ করেন৷ অপর মতানুযায়ী, তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরের সন্নিকটস্থ পালাড়া-বিঘাটি গ্রামে তার মাতামহ নবীন চন্দ্র সিংহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা বিনোদবিহারী বসু এবং তাঁর মায়ের ন

কবি নজরুল

Image
কলমে  -  সন্দীপ চক্রবর্ত্তী  বিদ্রোহী কবি নাম ছিলো তাঁর  ভুলতে কি কেউ পারি?  চুরুলিয়া থেকে সেই দুখু মিঞা  মিলনের কারবারী ।  চায়ের দোকানে গ্লাস ধুতে ধুতে মুখে মুখে শুরু পদ্য সবার হৃদয়ে ছাপা হয়ে গেল নাটক ছড়া ও গদ্য। লেটোর দলের পালাগানটাও ছিল তাঁর ভালো রপ্ত নিপীড়িত যত সর্বহারারা হয়েছিল তাঁর ভক্ত। স্বাধীনতা সংগ্রামে সামনে থেকে কলমের সাথে সন্ধি  রাজদ্রোহের শাস্তি  মাথায় নিয়ে কিছুদিন জেলে বন্দি। হিন্দু-মুসলমান মিলনী ছিলো তাঁর  সারা জীবনের সাধনা দিকে দিকে গেয়ে সাম্যবাদের গান  সয়েছে শতেক যাতনা। মানব সেবায় সাহিত্য সাধনায় আমরা তোমায় নমি  আজ কবি নজরুল জন্মদিনে তোমার চরণ চুমি । আজ বীর বিপ্লবী,বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী ও বিপ্লবীদের বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মজয়ন্তী দুই প্রণম্য বীর বিপ্লবী কে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম....... সন্দীপ চক্রবর্ত্তী ব্যবত্তারহাট 🌼নন্দকুমার 🌼পূর্ব মেদিনীপুর

করোনায় মারা গেলেন সাংবাদিক অনুপ ধর

Image
সুব্রত রায়, কলকাতাঃ   চলে গেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অনুপ ধর। মৃত্যুকালে তাঁর  বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় আর এন টেগোর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু বুধবার রাতে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেন। তবে শেষ রক্ষা হল না। কর্মজীবনে যুগান্তর, সংবাদ প্রতিদিন,  বিশেষ প্রতিবেদন, প্রাত্যহিক সংবাদ, সিগনাস মিডিয়া, নিউজ বাংলা, সংবাদ নজর প্রভৃতি পত্রিকায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। নিউজ বাংলা এবং সংবাদ নজরে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি তদন্তধর্মী টেলিভিশন সাংবাদিকতা করেন। জনপ্রিয় 'কড়া নজর'- প্রোগ্রামের পরিচালক ছিলেন তিনি। 'তারা নিউজ' চ্যানেলে এটি টেলিকাস্ট হতো। সহকর্মীদের সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার ছিল তাঁর। বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রে যারা কাজ    করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সাংবাদিকতার পথচলা শুরু হয় তাঁর হাত ধরে। স্ত্রী ও এক কন্যাকে রেখে গেলেন তিনি।

"একটু শ্বাসের আশ্বাস" এক অভিনব প্রয়াস জয়রামপুর বটতলা পূজা কমিটির

Image
সমীরণ দাস, কলকাতা: করোনা দ্বিতীয় পর্যায় বহু মানুষ মারা গেছেন অক্সিজেনের অভাবে। দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের আতঙ্ক। আর এই আতঙ্কের থেকে মুক্তি পেতে বাংলার বিভিন্ন স্থানে তৈরী হয়েছে অক্সিজেন পার্লার। প্রয়োজনে মানুষ এই পার্লারে গিয়ে নিতে পারেন অক্সিজেনের সুবিধা। অক্সিজেনের অভাবে স্বজন বিয়োগের ব্যথা বুকে নিয়ে তৈরি হয়েছে "একটু শ্বাসের আশ্বাস"। বেহালা জয়রামপুর বটতলা সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি চালু করেছেন অক্সিজেন পরিষেবা। ইতিমধ্যে বহু মানুষ উপকৃত এই পরিষেবা পেয়ে। যেখানে রেড ভলেন্টিয়ার্সদের নাম আমরা বহুবার দেখেছি কিন্তু নি:শব্দে একটি সার্বজনীন পূজা কমিটি বিনোদনের কথা বাদ দিয়ে সেবা দিয়ে চলেছেন। রান্না করা খাবার বহু প্রতিষ্ঠান দিচ্ছেন কিন্তু "একটু শ্বাসের আশ্বাস" দিচ্ছেন এইপুজা কমিটি দীপাঞ্জন সেনগুপ্তের নেতৃত্বে। ভুলু, সমীর , সাবা, কার্তিক এক ডাকে হাজির হচ্ছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়ীতে বাড়ীতে।এলাকার মানুষ খুশী এই পরিষেবা পেয়ে।

১০৯ কোটি টাকা আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ উঠলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে

Image
  নিউজ ডেস্ক: এতদিন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আমরা বরাবর শুনে এসেছি। এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধনখড়ের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করলো শিবসেনার মুখপাত্র "সামলাতে"।   কয়েকশাে কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযােগ উঠল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধনখড়ের বিরুদ্ধে। শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে দাবি করা হয়েছে, ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা শেষ হয়ে গেলেও মিউজিয়ামের কোনও কাজ হয়নি। তাহলে কোন খাতে এত টাকা ব্যয় হল? সেই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না মিউজিয়ামের কর্তারা। অডিট রিপাের্টে বিষয়টি একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল মিউজিয়ামের ট্রাস্টি বাের্ডের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেননি জগদীপ ধনখড়। গােটা ঘটনাটাই তিনি বেমালুম চেপে গিয়েছেন। সামনায় আরও দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল নিজে এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আছেন। তাই তিনি তদন্ত না করে অন্যান্য দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন। ফল স্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পাল ধনকরের পদত্যাগ দাবি করেছে শিবসেনা। এশিয়ার প্রাচীনতম এ

সাইক্লোন যশের জন্য আগাম সতর্কতায় করোনাবিধি শিথিল করল নবান্ন

Image
স্নিগ্ধা মুখার্জীঃ একেই করোনা তার ওপর লকডাউন চলছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই গত বছরের আম্পানের স্মৃতি মনে করাচ্ছে সাইক্লোন যশের আগমন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিভিন্ন রকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে যশের কারনে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং জরুরি বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে। তবে লকডাউনের কারণে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়ায় তা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে পারছেন বেশ কিছু শ্রেণীর মানুষ।এবার তাদের জন্য লকডাউনের মধ্যেও আগাম ছাড় দিল রাজ্য। যেসব দিকে ছাড় দিয়ে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেগুলি হল, কৃষি ক্ষেত্র ও গ্রামোন্নয়ন।  অর্থাৎ কৃষিজ ফসল, ফুল বাজারে বিক্রি, সামগ্রী নিয়ে আসার ক্ষেত্রে, পরিবহণ ক্ষেত্রে, ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামতির কাজে যাতে সমস্যা না হয় সেই কারণে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়।

যশ মোকাবিলায় কামারহাটি পৌরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হলো

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন, কামারহাটিঃ   রাজ্যের ওপর ধেয়ে আসছে যশ। আগামীকাল থেকে প্রবল আকারে বাংলার ওপর আছড়ে পড়তে চলেছে যশ। আবহাওয়া সূত্রের খবর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপ সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আকারে। যা ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে আগামীকাল আসছে যশ। তার জেরে সোমবার থেকে পরিবর্তন হতে পারে আবহাওয়াও।  ২৫ মে থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। ২৬ মে থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। ২৫ মে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বইতে পারে। তার জেরে বাড়তি সতর্কতা মানতে তৎপর কামারহাটি পৌরসভা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়াতে যশের সাথে মোকাবিলায় কামারহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কামারহাটিবাসীদের সুবিদার্থে দুটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। যশের প্রভাবে সমস্যায় পড়লে সাহায্যের জন্যে সারাক্ষণ খোলা থাকবে এই দুটি নম্বর - ০৩৩২৫৬৪৮৬৪৬ / ০৩৩২৫৬৪৮৯৫৮০ ।

দলবদলুদের ঘরে ফেরার আবেদনের সুরের কাটা ঘায়, নুন ছেটালো দেবাংশু

Image
  সৌমিক সান্যাল, বিশেষ প্রতিবেদন: দলবদলুদের ঘরে ফেরার আবেদনের সুরের কাটা ঘায়, নুন ছেটালো দেবাংশু!! সোশ্যাল মিডিয়ায় "ফর্ম" ছেড়ে কটাক্ষ পোস্ট করলেন তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু!! তাতে লেখা "সুর ফিরে পেতে চাওয়া বেসুরো ব্যক্তিরা এই ফর্ম ডাউনলোড করে, ফিলাপ করে, উল্লিখিত ঠিকানায় যমা দিন"। এই ফর্মের নাম 'বেসুরো স্বীকারোক্তি ফর্ম। ফর্ম টি দেবাংশু ভট্টাচার্যর উপস্থাপনা ও জমা দেওয়ার স্থান নিজের বিবেক! এই ফর্ম ছেড়েই দল বদলুদের মোক্ষম জবাব দিলেন দেবাংশু। তাহলে কি ? এই দল বদলুদের স্বীকার করতে চলেছে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ? কি হবে এই হেবি ওয়েট ও নন হেবি ওয়েট দল বদলুদের ভবিষ্যৎ ? তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টিও এদের ত্যাগ করলো!

মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গোৎসব কমিটি আয়োজনায় দুঃস্থদের নৈশ্যভোজের ব্যবস্থাপনা

Image
  গোপাল দেবনাথ, কলকাতা: করোনা অতিমারী আমাদের জীবনের সাথে আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনা অতিমারীর জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা বদলে গেছে। মাঝে একটু অতিমারীর দাপট কমলে ও ভাইরাস মুক্ত হওয়া গেল না। গত বছর সাধারণ মানুষের বহু জীবন হানি হয়েছে সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে রোজগারের সমস্ত রকমের দরজা। মানুষ গরিব থেকে আরো গরিব হয়ে গেছে।   দুঃস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাবারের আকাল লেগে গেছে। গতবছর ও বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাধারণ মানুষের সেবার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছিল। দুঃস্থ মানুষের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছিল। এই মহান কাজে ব্রতী হয়েছিল মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি এবং সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গোৎসব কমিটি। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে সারাবছর ধরেই সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই গ্রীষ্মে রক্তের আকালের কথা ভেবে স্বেচ্ছা রক্ত দানের মাধ্যমে প্রায় ২০০ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করে। এই সংগঠনের সভাপতি অন্যতম উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী সজল ঘোষ বলেন, আজ আমরা শুরু করলাম গতবছরের মতো অন্নপূর্ণা কিচেন।  এই কিচেন প্রতিদিন ১০০০জন নিরন্ন মানুষের মুখে রাতের অন্ন তুলে দেবে। আ

অবশেষে দল বদলুদের ঘরে ফেরার সুর

Image
সৌমিক সান্যাল, বিশেষ প্রতিবেদনঃ   আমি আপনাকে ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে ভুল করেছি! আমাকে  দিদি, আপনার আঁচলের তলে ফিরিয়ে নিন! সদ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা সোনালী গুহ-র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে-কে টুইট! তিনি বলেন মাছ কি দলছাড়া বাঁচতে পারে দিদি ? আমি ভুল করেছি৷ আমি জোয়ার ভেবে ভাটায় ভাসিয়ে দিয়েছিলাম নিজেকে কিন্তু আজ পস্তাচ্ছি! আমাকে একবার সুযোগ দিন আমি আপনার চরণ তলে নিজের বাকি জীবন টা কাটিয়ে দেবো। এদিকে সূত্র মারফত সোনা গেছে যে, এক এক করে অনেক দল বদলুদের-ই একই অবস্থা ভেতর, ভেতর ঘরে ফেরার গান গাইছেন। কিন্তু সোনালী গুহ খোলাখুলি প্রকাশ্যে গান গেয়ে উঠলেন। কিন্তু এদিকে আবার তৃণমূল সমর্থক ও নিচু তলার কর্ম বৃন্দ দের মতে, দিদি যেন এই দল বদলুদের ঘরে না ফেরায়। তাতে 'বাংলার মা মাটি মানুষের' ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এখন দেখার দিদি কি ? তার এই অবাধ্য দল বদলু ভাই বোনেদের ঘরে ফেরাবে নাকি ? মুখ ফেরাবে সেই দিকেই বাংলার মানুষ তাকিয়ে।

নবজাগরণের নায়ক রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা

Image
  বাংলার নবজাগরণের জনক রাজা রামমোহন রায়,ভারত পথিক রাজা রামোহন রায়, সমাজ সংস্কারক রাজা রাম মোহন রায়, কেবল বাংলা ভাষার শুধু নয় তিনি আধুনিক ভারতের রূপকার ছিলেন ।  জন্ম: ২২ শে মে,১৭৭২ সাল । জন্মস্থান: জন্ম (মামার বাড়ি)-শ্রীরামপুর, হুগলী জেলা । বাড়ি- রাধানগর, হুগলী জেলা। মৃত্যু : ২৭ শে সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ সাল । স্টেপল্‌টন, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড। রামমোহন রায়ের যখন  জন্ম হয়, তখন সবে এদেশে ইংরেজ শাসন কায়েম হয়েছে । ১৭৭২ সালে ২২ শে মে হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে মামার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নিজের বাড়ি হুগলী জেলার  রাধানগর গ্রামে । তিনি এক কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারে সন্তান। তাঁর পিতার নাম রামকান্ত রায় আর মাতার নাম তারিণী দেবী । রামকান্ত রায়ের পূর্বপুরুষের পদবী ছিলো বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বাদশাহ ফারুখশিয়রের আমলে বাংলার সুবেদারের অধীনে আমিনের কাজ করতেন। সেই সূত্রে এই পরিবারের রায় উপাধি লাভ হয় এবং পরবর্তী পুরুষানুক্রমে রায় উপাধির ব্যবহার প্রচলিত হয়ে থাকে। প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক ছিলেন তিনি । তৎকালীন রাজ

রাজ্যে প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু হরিদেবপুরের বাসিন্দার

Image
নিজস্ব প্রতিবেদন, হরিদেবপুরঃ   ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে রাজ্যে প্রথম মৃত্যু । করোনার সাথে সাথে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণিত হয়ে মারা গেলেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের জেরে ভবানীপুরের শম্ভুনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বছর ৩২ এর গৃহিণী শম্পা চক্রবর্তী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। করোনার রেষ যেতে না যেতেই নতুন এক আতঙ্ক যুক্ত হয়েছে। যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের মধ্যে ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাংগাস, যাকে মিউকরমাইকোসিস বলা হয়ে থাকে। এটির সংক্রমণ শুরু হয় নাক থেকে। ক্রমশ চোখে পৌঁছায়। এর জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছে ব্যবহৃত মাস্কের আর্দ্রতাকে। নাক মুখ ঢেকে বহু সময় ধরে মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাকালীন ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষতিকর রাসায়নিক ও গ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে শরীরের জলকণাও।আর তাতেই ভেজাভাব হয়ে থাকে মাস্কের ভিতরের দিকটা। সেই সঙ্গে মাস্কে লেগে থাকা ধুলোবালি ও ময়লাতে আক্রমণ হয় এই ছত্রাকের। চিকিৎসকেরা বলছেন, হাসপাতালে দীর্ঘ

করোনা সংক্রমনে দেশজুড়ে ভয়াবহ বাতাবরণে নতুন উপদ্রব কৃষ্ণ ছত্রাক , রাজ্য জুড়ে আগাম সতর্কতা

Image
  অনন্যা ঘোষ : দেশজুড়ে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ য়ে মানুষ যখন জেরবার তখন  মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো শিরে সংক্রান্তি কৃষ্ণ ফাংগাসের উপদ্রব । ওড়িশায়  এর মধ্যেই ব্ল্যাক ফাংগাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে। মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে । এরই মধ্যে এই রাজ্যের কয়েকজন এই সংক্রমনে আক্রান্ত যারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্ট্রং লকডাউন জারি করা হয়েছে । এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রককে যুদ্ধকালীন তৎপরতার কাজ করবার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে । সাধারণত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন , তাদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড প্রয়োগ করার কারণে অনেকে ব্ল্যাক ফাংগাসের শিকার হচ্ছেন বলে চিকিৎসক মহলের ধারণা ।এই সংক্রমণে‌ করোনার মতো উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে । জ্বর জ্বর ভাব , বমি বমি ভাব, চোখের পাশে কালচে ভাব , মাড়ি ফোলা প্রভৃতির সাথে নাক ও চোখ দিয়ে কালচে জল গড়ানো এর অন্যতম উপসর্গ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি হবার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । এই সঙ্কটকালে ওড়িশা ও ঝাড

"নমো আহার" এর উদ্যোগ খড়গপুরের বিজেপির প্রার্থী তথা টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের

Image
  জোনাকি ব্যানার্জী, খড়গপুরঃ করোনা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়েছে টলিপাড়ার তারকা রাজনীতিবিদরা। কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেদের সাধ্যমত অবিরাম চেষ্টায় এই টলি-নেতারা। রাজ চক্রবর্তী,জুন মালিয়া এবং দেব এদের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে এবার "নমো আহার" এর উদ্যোগ খড়গপুরের বিজেপির প্রার্থী তথা টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। খড়গপুর সদরের যেসব মানুষরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে এবং যাদের পক্ষে নিজেদের পেট চালানোর মত আয় প্রায় বন্ধ বললেই চলে তাদের জন্য এই অভিনেতা-বিধায়কের নয়া উদ্যোগ। এর আগেও কোভিড মোকাবিলায়, কুইক রেসপন্স টিম চালু করে হেলপ্লাইন নম্বরের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টিম তৈরি করেছিলেন তিনি। এবারের উদ্যোগ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার। খড়গপুর সদরের এলাকার মানুষদের জন্য এই নব উদ্যোগ।তার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন প্রচুর মানুষ। রাস্তায় খাবারের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা কে তোয়াক্কা না করে সব বিধি-নিষেধ মেনে তিনিও নেমেছেন করণা মোকাবিলার ময়দানে। নিজের হাতেই খাবার তুলে দিচ্ছেন মানুষের হাতে। রাজনৈতিক মহলে রাজনৈতিক মহলে তাকে

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়

Image
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন।  মন্ত্রীসভার একজন বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন শোভন্দেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে ৭৬ বছর বিদ্যুৎ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীত্ব করেছেন তিনি। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে বিধায়কের পদে মনোনীত হন তিনি। কিন্তু হঠাৎই বিধায়কে পদ ছাড়লেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পদ থেকে ইস্তফার চিঠি দিয়ে এলেন তিনি নিজে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় নিয়মানুযায়ী তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র একটি কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন।  কিন্তু নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ায় সেক্ষেত্রে তাঁকে যেকোনো একটি কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে আসতে হবে রাজ্য আইনসভায়। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করবেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যা

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে লড়াইয়ে জয়ী হলেও, করোনার কাছে হার মানলেন বর্ষীয়ান ডানপন্থী নেতা অজয় দে

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন, শান্তিপুর:  মৃত্যু হল টানা 25 বছরের শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। শোকস্তব্ধ শান্তিপুর নদীয়া জেলার।  কংগ্রেসের হাত ধরেই ছাত্ররাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ। প্রথমে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও রাজ্যে পালাবদলের পর 2014 সাল নাগাদ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। পাঁচ বছরের বিধায়ক ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন তিনি শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 67 বছর। 1990 সাল থেকে টানা 6 বছর শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।  এবারের বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর ফল ঘোষণার আগেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে 29 শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি   কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই থেকে আজ সকাল পর্যন্ত শারীরিক উন্নতি হয়নি। আজ সকাল সাড়ে নটা নাগাদ, তার মৃত্যু হয়। সমগ্র রাজনৈতিক মহল সহ গোটা নদীয়াজেলা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।

জামিন মঞ্জুর ফিরহাদ-শোভন-সুব্রত-মদনের, হাউস অয়ারেস্টের নির্দেশ হাইকোর্টের

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাঃ   নারদা মামলায় আটক চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করলো হাইকোর্ট। আপাতত জেল হেফাজত ছেড়ে হাউস অ্যারেস্টে থাকার নির্দেশ আদালতের। যতদিন না পর্যন্ত নতুন বেঞ্চ গঠন হবে ততদিন গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ চার হেভিওয়েটকে।  নারদা মামলার জেরে রাজ্যের তিন মন্ত্রী সহ এক বিধায়ককে আটক করে সিবিআই। ফিরহাদ-শোভন-সুব্রত-মদনকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। তারপর দফায় দফায় শুনানি। আজ ফের হাইকোর্টে নারদা মামলার শুনানি হয়। চার নেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের বিচারপতি । তবে জামিনের বিরোধিতা করেছেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি। এই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে আদালতে। তবে আপাতত জেল হেফাজতে ফিরহাদ-শোভন-সুব্রত-মদনকে থাকতে হবে না। এখন নতুন বেঞ্চ গঠন হওইয়া পর্যন্ত তারা থাকবেন গৃহবন্দি অবস্থাতেই।   

অর্জুন সিংকে সিআইডি তলব

Image
  জোনাকি ব্যানার্জী, কলকাতাঃ নারদ কান্ডে চার হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেপ্তারের পর এবার সিআইডির তলব ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-কে। জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা তার বাড়ি পৌঁছায় এবং সেখানে গিয়েই নোটিশ দিয়ে আসে। ২৭শে মে সকাল ১১ টায় তার হাজিরার নির্দেশ ভবানীভবনে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও, অর্জুন সিং এর প্রতিক্রিয়া এখনো অজানা।   ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের আর্থিক দুর্নীতি মামলা নিয়ে ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংকে নোটিশ পাঠাল সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতে জগদ্দলের মেঘনা মোড় এলাকায় সাংসদের বাড়িতে সিআইডি একটি দল এসে সিআইডি নোটিশ পাঠায়। আগামী ২৭শে মে বেলা ১১টা নাগাদ সিআইডি সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে চিঠি অর্জুন সিংকে। যদিও সেই সময় বাড়ি ছিলেন না সাংসদ অর্জুন সিং। 

খুকুমণির ক্যালেন্ডারে সম্পৃতির বার্তা

Image
  গোপাল দেবনাথ, কলকাতা : খুকুমণির সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ এইবছর। বাংলার ঘরে ঘরে এক অতিপরিচিত নাম। বিবাহিত নারীদের জীবনে মঙ্গলের প্রতীক সিঁদুর এবং আলতা। পূজো পার্বনে ও সিঁদুর ও আলতা অপরিহার্য। আর এই সিদুঁর,আলতা বলতেই মনে পড়ে খুকুমণির নাম। কলকাতার পাশেই হাওড়ার বাগনানে পঞ্চাশ বছর আগে শুরু হয় এই ফ্যাক্টরি। আজও একই ভাবে সমাদৃত সেই নাম। নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর জন্য অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি লিকুইড হার্বাল সিদূঁর নিয়ে এলো খুকুমণি। বছরের নানা সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ডাইরেক্টর অরিত্র রায় চৌধুরী। সম্প্রতি নববর্ষ উপলক্ষে প্রথা মেনে বিভিন্ন পুরোনো ডিলারদের আপ্যায়ন করা হয় অনুষ্ঠান স্থলে, উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু বিশিষ্টজনেরাও। সর্বদা পাশে ছিলেন শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স এর কর্ণধার রূপক সাহা। নববর্ষে প্রকাশিত হয় খুকুমণির বিশেষ পরিচিত "লক্ষী" দেবীর ক্যালেন্ডার। ওড়িশার জন্য জগন্নাথ দেবের ক্যালেন্ডার এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে তাঁদের জন্যও ক্যালেন্ডার প্রকাশ প্রথা মেনে করা হলো।

বাঙালি জাতিহত্যা ও বাংলা ভাষা মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শির সোজা রেখে লড়াইয়ের নাম শিলচর

Image
শ্রী অন্নদাশংকর দোলই, সদস্য ও ঐক্যযোদ্ধা, ঐক্য বাংলা " শিলচর নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের বেশ কিছুটা অতীতে গিয়ে ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবেই তবেই এর মূল সমস্যার গোড়া পত্তন করা যাবে। তবে প্রথম এবং স্পষ্ট কথা আসামের বাঙালিরা বহিরাগত নয় তারা আসামের ভূমিপুত্র।১৮২৬ সালে ইংরেজরা তৎকালীন কামরূপ রাজ্য দখল করে যার শাসনকর্তা ছিল আহোমরা ।তার পার্শবর্তী রাজ্য কাছাড় ১৮৩২ সালে ইংরেজরা দখল করে তখন ঐ রাজ্যের সরকারি ভাষা ছিল বাংলা এবং প্রায় সমস্ত অধিবাসী ছিলেন বাঙালি।এর পরবর্তীতে ইংরেজরা আসাম রাজ্যের গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় ১৮৭৪ সালে,রাজ্য গঠনের পরেই এই রাজ্য আর্থিক ঘাটতি রাজ্যে পরিণত হয়।এই রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অবিভক্ত বঙ্গের শ্রীহট্ট ,গোয়ালপাড়া এবং কাছাড় রাজ্যকে আসামের অন্তর্ভুক্ত করে ব্রিটিশ শাসকরা।সেদিন সেই সংযুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়ার বাঙালিরা(ব্রিটিশ আমলের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নথি ঘাঁটলেই তথ্য পরিষ্কার)।ব্রিটিশরা নবগঠিত রাজ্যের নাম রাখল আসাম। কেন? কোনও ব্যাখ্যা নেই। ১৮৭৪ সাল, যখন আসাম বলতে ছিল শুধু ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর,কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই,হাজার,হ

অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগ

Image
  করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী  চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের মা সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন সুদীপ্তাদেবী। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। গত সাতদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতির জেরে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মিন্টো পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । আজ হাসপাতালের বিছানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  মা হারা হলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। শোকে ভেঙ্গে পড়লেন অভিনেত্রী। ছোটবেলা থেকে নিজের মায়ের কাছেই পড়াশুনো শেখা। চূর্ণীর একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পিছনে মা হিসেবে সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য।  গতমাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন চুর্ণীর ছেলে উজান। তার কিছুদিন পর করোনা পজিটিভ হন তার স্বামী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। তবে নেগেটিভ ছিলেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দুপুরে মাতৃহারা হলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। 

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাঃ  কোভিড আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। মীরা ভট্টাচার্যের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিলই। ভর্তি বেসরকারি এক হাসপাতালে। তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৪-তে নেমে গিয়েছে।  করোনা আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে বাড়িতেই ৫ মিলিলিটার অক্সিজেন বাড়িয়ে দিয়ে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে বলে চিকিৎসক মহলে খবর।

করোনা অতিমারীর কারণে আংশিক লকডাউনে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো

Image
  গোপাল দেবনাথ : গত মার্চ মাস থেকে রাজ্যে ভোটের কারণে সেই অর্থে রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়নি। সেই সাথে  করোনা অতিমারীর প্রকোপ তো আছেই। রাজ্যের ব্ল্যাড ব্যাংকের ভান্ডার শূন্য বলা যেতে পারে। করোনার বাইরেও যে বহু রোগ ও অস্ত্রোপচার এর প্রয়োজনে প্রচুর পরিমানে রক্তের প্রয়োজন হয় সেই কথা ভুলে গেলে চলবে না। রাজ্যে গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহ চলছে সেই সাথে আজ অর্থাৎ ১৬ই মে থেকে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। জেলায় জেলায় রক্তসংকটের চরম বেহাল অবস্থা। আমাদের পূর্ব বর্ধমান শহরের ব্লাড সেন্টারও এর ব‍্যাতিক্রম নয় A+,B+ এর মতো সহজলভ‍্য গ্রুপের রক্তও বিরল হয়ে পড়লো ।  স্বেচ্ছা রক্তদান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ ১৫০ ইউনিট ব্ল্যাড সংগ্রহে সাময়িক স্বস্তি দিল যার ফলে কিছু থ‍্যালাসেমিয়া শিশুর কয়েকজন নিয়মিত রক্ত পাবে। কয়েকজন মুমূর্ষু রোগীর আটকে পড়া ডায়ালিসিস করা সম্ভবপর হবে। চিকিৎসা ব‍্যবস্থাকে সচল রাখতে হলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতনভাবে স্বেচ্ছারক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে । মনে রাখতে হবে আমরা যে দলেরই সমর্থক বা কর্মী হই না কেন প্রথমে আমরা মানুষ, তাই মানবিকতা ও মানবিক দায়িত্ব পালন আমাদে

শহরের আপামর সাংবাদিক কূল কে করোনা টিকা দিয়ে নতুন নজির গড়ল কলকাতা প্রেস ক্লাব

Image
  নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাঃ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসাবে শহরের সাংবাদিকদের জরুরী ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করল কলকাতা প্রেস ক্লাব। টানা পাঁচ দিন ধরে মোট ৮৭০ জন  সংবাদ কর্মীকে টিকা দেওয়া হয় ক্লাব প্রাঙ্গনে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকারি পরিচয় প্রাপ্ত সাংবাদিক ছাড়াও চিত্র সাংবাদিক সহ গণমাধ্যমের অন্যান্য কর্মীদেরও টিকা দেওয়া হয়েছে প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর অতিমারীর আবহে প্রতিদিন বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলা সাংবাদিকদের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পরেই তাদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সেই উদ্যোগ কে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসে কলকাতা প্রেসক্লাব। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, কলকাতা পুরসভা, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ক্লাব প্রাঙ্গণে টিকা প্রদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।  প্রথমে সরকারি নির্দেশ মতো শুধুমাত্র সরকারি পরিচয় প্রাপ্ত বা  সাংবাদিকদের জন্য সর্বপ্রথম টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রেসক্ল

কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ভ্যাকসিন প্রদান

Image
  গোপাল দেবনাথ , কলকাতা:  গত বছর  ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া করোনা অতিমারীর ঢেউ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের মানুষের মৃত্যু দেখেছে আমাদের দেশ তথা আমাদের রাজ্যও। বহু প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের আমরা মৃত্যু মিছিল দেখেছি। অকালে চলে যেতে দেখেছি ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সাফাই কর্মী, বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে বহু অল্পবয়সী সাংবাদিকদের মৃত্যু আমাদের হৃদয় নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। যদিও সেই সময় টা ছিল ভ্যাকসিনের আবিষ্কার পর্ব। গত অক্টোবর মাস থেকে ভাবা গিয়েছিল বোধহয় করোনা অতিমারীর প্রকোপ থেকে মুক্তি পেলাম আমরা। কিন্তু না আমাদের সমস্ত রকম ধ্যান ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হাজির হয়েছে দেশ জুড়ে। আবার আমরা মৃত্যুমিছিল দেখতে পাচ্ছি। যদিও রোগ প্রতিরোধ এবং মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে এই ভ্যাকসিন প্রথমে ৬০ বছর বয়সের উর্দ্ধে দেওয়া হচ্ছিল। এরপর মাঝবয়সী অর্থাৎ ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকে। এরপর ১লা মে থেকে শুরু হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মানুষের টিকাকরণ।  সকল শ্রেণীর সাংবাদিকদের কথা ভেবে কলকাতা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রী