রাজ্যে প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু হরিদেবপুরের বাসিন্দার


নিজস্ব প্রতিবেদন, হরিদেবপুরঃ  ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে রাজ্যে প্রথম মৃত্যু । করোনার সাথে সাথে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণিত হয়ে মারা গেলেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের জেরে ভবানীপুরের শম্ভুনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বছর ৩২ এর গৃহিণী শম্পা চক্রবর্তী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

করোনার রেষ যেতে না যেতেই নতুন এক আতঙ্ক যুক্ত হয়েছে। যার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের মধ্যে ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাংগাস, যাকে মিউকরমাইকোসিস বলা হয়ে থাকে। এটির সংক্রমণ শুরু হয় নাক থেকে। ক্রমশ চোখে পৌঁছায়। এর জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছে ব্যবহৃত মাস্কের আর্দ্রতাকে। নাক মুখ ঢেকে বহু সময় ধরে মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাকালীন ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষতিকর রাসায়নিক ও গ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে শরীরের জলকণাও।আর তাতেই ভেজাভাব হয়ে থাকে মাস্কের ভিতরের দিকটা। সেই সঙ্গে মাস্কে লেগে থাকা ধুলোবালি ও ময়লাতে আক্রমণ হয় এই ছত্রাকের। চিকিৎসকেরা বলছেন, হাসপাতালে দীর্ঘদিন রোগীদের জন্যে ব্যবহৃত অক্সিজেনের নল বার বার পরিষ্কার না করার জেরেও এই ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। 


করোনার সাথে লড়াই করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মানব সমাজকে। তার উপর আবার বাড়তি সতর্কতা বাড়াতে নজর কাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সাথে সাথে এবার মৃত্যু হলো হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী (৩২)। 

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের