নবজাগরণের নায়ক রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা

 



বাংলার নবজাগরণের জনক রাজা রামমোহন রায়,ভারত পথিক রাজা রামোহন রায়, সমাজ সংস্কারক রাজা রাম মোহন রায়, কেবল বাংলা ভাষার শুধু নয় তিনি আধুনিক ভারতের রূপকার ছিলেন । 


জন্ম: ২২ শে মে,১৭৭২ সাল ।

জন্মস্থান:

জন্ম (মামার বাড়ি)-শ্রীরামপুর, হুগলী জেলা ।

বাড়ি- রাধানগর, হুগলী জেলা।

মৃত্যু : ২৭ শে সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ সাল । স্টেপল্‌টন, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড।


রামমোহন রায়ের যখন  জন্ম হয়, তখন সবে এদেশে ইংরেজ শাসন কায়েম হয়েছে । ১৭৭২ সালে ২২ শে মে হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে মামার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নিজের বাড়ি হুগলী জেলার  রাধানগর গ্রামে । তিনি এক কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারে সন্তান। তাঁর পিতার নাম রামকান্ত রায় আর মাতার নাম তারিণী দেবী ।

রামকান্ত রায়ের পূর্বপুরুষের পদবী ছিলো বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বাদশাহ ফারুখশিয়রের আমলে বাংলার সুবেদারের অধীনে আমিনের কাজ করতেন। সেই সূত্রে এই পরিবারের রায় উপাধি লাভ হয় এবং পরবর্তী পুরুষানুক্রমে রায় উপাধির ব্যবহার প্রচলিত হয়ে থাকে।


প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক ছিলেন তিনি । তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। বাংলার  নবজাগরণের পথিকৃৎ বলা হয় তাঁকে । তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মাহুতি হতে বা দিতে বাধ্য করা হতো। আবার তিনি বহুবিবাহ সম্পর্কে সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। 


সেকালে বাংলা ভাষা ছিলো সাংস্কৃতিক শব্দবহুল। মাতৃভাষার শিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি বাংলা ভাষাকে সংস্কৃত মুক্ত করেছিলেন। তার হাত ধরেই আধুনিক বাংলা ভাষা একটি নির্দিষ্ট রূপ লাভ ঘটেছিলো ।  কেবল বাংলা ভাষা শুধু নয় তিনি আধুনিক ভারতের রূপকারও  ছিলেন।


তখন কার সময় এদেশের সনাতন শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে কাব্য , ব্যাকরণ , ধর্মশাস্ত্র ছিল প্রধান। তাই ইংরেজের শাসনাধীন দেশে রামমােহনই প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন , যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থারও পরিবর্তন হওয়া উচিত এবং আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ভারতবাসীকে ইংরাজি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে । ইংরাজিতে লেখাপড়া চালু করবার জন্য রামমােহন কলকাতায়  অ্যাংলাে-হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি একেশ্বর উপাসনায় পথ দেখাবার উদ্দেশ্যে আত্মীয়সভা প্রতিষ্ঠা করেন । এই সভাই পরে দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রভৃতি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় ব্রাহ্মসমাজে রূপান্তরিত হয় । রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার সূত্রে রামমােহনই ছিলেন ভারতে আন্তর্জাতিক আদর্শ ও ভাবনার প্রবক্তা । সেকালে , লেখাপড়া শেখার জায়গা ছিল তিনটি - গুরুমশায়ের পাঠশালা , ভট্টাচার্যের চতুষ্পাঠী আর মৌলবীদের মক্তব ।

বালক রামমােহন প্রথমে পাঠশালায় ভর্তি  হয় । পড়াশুনায় তার অসীম আগ্রহ আর মেধা দেখে পণ্ডিত মশায় অবাক । অল্প দিনেই পাঠশালার পড়া শেষ হয়ে গেল । এরপর সে ভর্তি হল চতুপাঠীতে । সেখানেও পড়া শেষ করতে রামমােহনের বেশি দিন লাগল না।

বাড়ির লােক আর পাড়া প্রতিবেশীরা বলাবলি করতে লাগল, বড় হয়ে এই ছেলে মস্ত বিদ্বান হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই ।

দেশে তখন ইংরাজের শাসন শুরু হলেও মুসলমানী আমলের আইন - কানুনই প্রচলিত ছিলো। আদালত ও সরকারী কাজকর্মে ফারসী ও আরবী ভাষার ব্যবহার হত । উচ্চ রাজকার্য পেতে হলে আরবী ফারসী ভাষা জানা আবশ্যক ছিল । তাছাড়া এ দুটি ভাষা না জানলে কেউ বিদ্বান বলে গণ্য হত না। রামকান্ত ছেলেকে ফারসী ও আরবী ভাষা শেখাবেন মনস্থ করলেন । এজন্য বাড়িতে একজন মৌলবী রেখেছিলেন । এক্ষেত্রেও রামমােহন আবিশ্বাস্য মেধার পরিচয় দিলেন । আট বছর বয়স তখন তার , এর মধ্যেই আরবী ভাষা সুন্দরভাবে শিখে ফেললেন।সেই কালে আরবী শেখার মতাে ফারসী শেখার ভাল ব্যবস্থা বাংলাদেশে ছিল না । আরবী ও ফারসী ভাষা চর্চার কেন্দ্র হিসাবে পাটনার যথেষ্ট খ্যাতি ছিল । রামকান্ত রামমােহনকে ফারসী এবং আরবী আরও ভাল করে শিখবার জন্য পাটনায় পাঠিয়ে দিলেন । এই ভাষা দুটি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রামমােহন ইসলামী ধর্মগ্রন্থও পাঠ করতে লাগলেন । ইসলাম ধর্ম মূর্তিপূজার বিরােধী । কিন্তু এক ও অভিন্ন নিরাকার ঈশ্বর বা আল্লাহর উপাসক । ইসলামী ধর্মপুস্তক পাঠ করে ও মৌলবীদের সঙ্গে আলােচনা করে রামমােহনের মন মূর্তিপূজার বিরােধী হয়ে উঠল । পাটনার পড়াশুনা সাঙ্গ করে রামমােহন এক নতুন মানুষ হয়ে দেশে ফিরে আসেন ।

তার মুখে শুধু শেখ সাদির কবিতা , আরবী ও ফারসী বুলি । ঠাকুর মন্দিরের কাছ ঘেঁষেন না । ছেলের পরিবর্তন দেখে মা তারিণীদেবীর বুক কেঁপে ওঠে । মনে পড়ে যায় পিতার অভিশাপের কথা । গভীর উদ্বেগ নিয়ে স্বামীকে জানান সব কথা । রামকান্ত ভাবলেন সংস্কৃত ভাষা ও হিন্দুর প্রাচীন শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করলে নিশ্চয় ছেলের মনের ভাব পরিবর্তন হবে । রামমােহনকে কাশীতে পাঠিয়ে দেওয়া হল । মেধাবী রামমােহন কাশীতে আচারনিষ্ঠ পণ্ডিতদের তত্ত্বাবধানে কঠিক সংস্কৃত ভাষা অল্পদিনেই আয়ত্ত করে ফেললেন । পড়লেন বেদ উপনিষদ ।


উপনিষদেও রয়েছে এক ও নিরাকার ঈশ্বরের কথা । ছেলেবেলা থেকে তিনি যে দেবদেবীর কথা বিশ্বাস করে আসছিলেন , সে বিশ্বাস তার একেবারে ভেঙ্গে নানা প্রশ্ন দেখা দিল রামমােহনের মনে এক এবং নিরাকার ঈশ্বরই জুড়ে রইল তার সারা অন্তর জুড়ে । দেবদেবীর মূর্তিপূজা নিরর্থক বলে প্রতিপন্ন করলেন তিনি । কাশীর পণ্ডিতদের সঙ্গে তিনি তর্ক ও আলােচনায় প্রবৃত্ত হতেন । তার মতামত কেউ খণ্ডন করতে পারতেন না । তর্কে হেরে গিয়ে পণ্ডিতরা তাকে নাস্তিক অপবাদ দিতে লাগলেন ।কাশীর পাঠ সমাপ্ত করে বাড়িতে ফিরে এলেন রামমােহন । মা মনে করলেন , ছেলে পণ্ডিত হয়ে ফিরে এসেছে , আর কোনও ভাবনা নেই । এবার সে নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মনের মতােই চলবে । তারিণীদেবী ছেলেকে বললেন , রাম , ঠাকুরঘরে গিয়ে ঠাকুরকে প্রণাম কর। বাড়িতে সবে পা দিয়েছেন রামমােহন । তিনি বললেন , না না । ওই সব পুতুল ঠাকুরের কাছে মাথা নােয়াতে আমার ইচ্ছা করে না । শিউরে উঠে তারিণীদেবী বললেন ছিঃ , ছিঃ বাবা সংস্কৃতে পণ্ডিত হয়ে তাের  এমন দুর্মতি হল । রামমােহন বললেন , সংস্কৃতে আমি পণ্ডিত হতে পারি কিন্তু তাই বলে মন যা চায় না , তা আমি মেনে নেব কেমন করে ? যােল বছর বয়স , তখন তাঁর হিন্দুধর্মের মূর্তিপূজার বিরুদ্ধাচারণ করে একটা বই লিখে ফেললেন । পিতা রামকান্ত রেগে উঠলেন ছেলের কীর্তি দেখে । জেদী ছেলেও তর্ক করলেন বাবার সঙ্গে । বাবা রাগ করে ছেলেকে তাড়িয়ে দিলেন বাড়ি থেকে । কিশাের রামমােহনের জীবনের ওই ঘটনার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল । রামমােহন পিছিয়ে যাবার পাত্র ছিলেন না । নিঃসম্বল অবস্থায় গৃহত্যাগ করে পায়ে হেঁটে কত দেশ , কত তীর্থ পর্যটন করলেন । তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান , ঈশ্বর সম্বন্ধে শেষ কথা তাকে জানতে হবে ।

তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ভারতের বাইরের নানা ঘটনার  এবং মানুষের ওপর নিপীড়ণের বিরুদ্ধে মতামত ব্যক্ত করেছেন, প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন।তিনি পায়ে হেঁটে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন ।


রামমোহন রায় কলকাতায় ২০ শে আগস্ট ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ড যাত্রার আগে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে। তাকে ভারতের নবজাগরণের জনক বলা হয়ে থাকে ।


তরুণ বয়সে তিনি কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন অর্থোপার্জন শুরু করেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। কলকাতায় প্রায়ই আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত অসামরিক কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করেন। এই সুযোগে তিনি ভালো করে ইংরেজি শিখে নেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজে সিভিলিয়ান কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবির সঙ্গে তার সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়। কোম্পানির কাজে ডিগবির অধীনে তিনি দেওয়ানরূপে রংপুরে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তিনি দু'বার ভুটান সীমান্তে যান কোম্পানির হয়ে দৌত্যকার্যে ডিগবির সাহচর্যে তার সমস্ত নতুন চিন্তা এই সময়ের মধ্যেই পরিপক্কতা লাভ করে। ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন, এখান  থেকেই প্রকাশ্যে তার সংস্কার-প্রচেষ্টার কাজ শুরু হয়ে থাকে ।


তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ফারসি ভাষায় লেখা (ভূমিকা অংশ আরবিতে) তুহফাতুল মুহাহহিদিন। বইটিতে একেশ্বরবাদের সমর্থন আছে। এরপর একেশ্বরবাদ ( ব্রাহ্মবাদ) প্রতিষ্ঠা করার জন্য বেদান্ত-সূত্র ও তার সমর্থক উপনিষদগুলি বাংলার অনুবাদ করে প্রচার করতে থাকেন। ১৮১৫ থেকে ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রকাশিত হয়-- "বেদান্তগ্রন্থ ", "বেদান্তসার", "কেনোপনিষদ", "ঈশোপনিষদ", "কঠোপনিষদ", "মাণ্ডূক্যোপনিষদ" ও "মুণ্ডকোপনিষদ" প্রভিতি গ্রন্থ ।

রক্ষণশীল ব্যক্তিরা ক্রুদ্ধ হয়ে তার লেখার প্রতিবাদ দেখাতে লাগলেন। এই সব প্রতিবাদ কটূক্তিপূর্ণ এবং বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। রামমোহনও তাঁর প্রতিবাদীদের  প্রতিবাদ করলেন যুক্তি দিয়ে ও ভদ্রভাষায়। প্রতিবাদী-কর্তারা অবিলম্বে থেমে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদী-কর্তাদের মধ্যে প্রথম ও প্রধান ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, এঁর গ্রন্থের নাম ''বেদান্তচন্দ্রিকা''। বেদান্তচন্দ্রিকা'র প্রতিবাদে রামমোহনের সহিত বিচার লিখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। 'বেদান্ত গ্রন্থ' প্রকাশের সঙ্গে তিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ একেশ্বর উপাসনার পথ দেখালেন আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করে। এই আত্মীয় সভাকেই পরে তিনি ব্রাহ্মসমাজ নাম ও রূপ দেন। সাহেবদের বাংলা শেখানোর জন্য তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে ব্যাকরণ রচনা করেন।

বেদান্ত-উপনিষদগুলি বের করবার সময়ই তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতি বিগর্হিত প্রমাণ করে পুস্তিকা লিখলেন "প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ"। প্রতিবাদে পুস্তিকা বের হল "বিধায়ক নিষেধকের সম্বাদ"। তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুস্তিকা বের হয়। এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবুও গোঁড়ারা চেষ্টা করতে লাগল যাতে পার্লামেন্টে বিষয়টি পুনর্বিবেচিত হয়। এই চেষ্টায় বাধা দেওয়ার জন্য রামমোহন বিলেত যেতে প্রস্তুত হলেন। এব্যাপারে তাকে আর্থিক সহায়তা দান করেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। মোঘল সম্রাট ২য় আকবর তার দাবি ব্রিটিশ সরকারের কাছে পেশ করার জন্য বিলেতে পাঠান  ১৮৩০ সালে এবং ঐ সালের ১৯ শে নভেম্বর রামমোহনকে 'রাজা' উপাধি  দেন। 

বিলেতে রামমোহন ইউনিটেরিয়ান সমিতির সম্বর্ধনা লাভ করেন। 

১৮৩৩ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর মাত্র ৬১ বছর বয়সে এই ক্ষণজন্মা মনীষী ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে দেহত্যাগ করেন। 


আজকের তাঁর ২৫০ তম জন্ম দিবসে শ্রাদ্ধ ও প্রণাম জানাই 💐💐💐💐


সন্দীপ চক্রবর্ত্তী 

ব্যবত্তারহাট 🌼 নন্দকুমার 🌼পূর্ব মেদিনীপুর

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের