নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুরঃ করোনা কালের মাঝে হঠাৎই এক ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়লো রাজ্যের ওপর। দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কা সামলাতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে মানব সমাজকে সেই স্ময় এলোমেলো করে দিলো ইয়াস। ইতিমধ্যে সরকারও তৎপর হয়ে উঠেছে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। শুরু হতে চলেছে ত্রাণ প্রকল্পও। বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা কিংবা নেতা মন্ত্রীরা ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে গেছেন। নিজেদের সাধ্যমত তারা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে। কিন্তু এই সংকটময় পরিস্থিতিত শিকার সমাজের আরেক শ্রেণীর মানুষেরাও। যারা দিনমজুর। রাস্তার ধারে একটু খালি জায়গায় ছোট্ট তাদের ঘুমটি। জোড়ে হাওয়া দিলে মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও হয়তো উড়ে যেতে পারে। সেই সমস্ত মানুষরা কেমন আছেন। তারা কিভাবে সংসার চালাচ্ছেন। কেউ খোঁজ নিতে যান না। কেউ এই পরিস্থিতির মাঝে ভাবছেনও না তাদের কথা। কিন্তু কর্মহীন, বেকার এই মানুষগুলো হাহাকার করছেন একটু খাবারের জন্যে। আজ আগরপাড়া অঞ্চলের দু'জন যুবক নিজেদের আয়ের একটু অংশ ব্যয়ে রাস্তার ধারে থাকা এই অসহায় দুস্ত পরিবারের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রদান করেন।
ব্যারাকপুর, পলতা, ইছাপুর অঞ্চলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বসবাসকারী বেশ কিছু দুস্ত পরিবারের বাচ্চাদের হাতে একটি করে ল্যাকটোজেনের প্যাকেট তুলে দেন জীবনবিমার কর্মী রঘু গুহ এবং ওষুধ বিক্রেতা শুভ দাস। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী আজ প্রায় ৪০ টি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর পানীয় তুলে দেন।
কাজের ফাঁকে সময় কাঁটাতে কেউ যান বেড়াতে। আবার কেউ পরিবারের সাথে আনন্দ করে সময় কাটান। কিন্তু শুভ আর রঘু তারা দুজন সময় কাটান এই সমস্ত এলাকার মানুষদের অসুবিধায় পাশে থেকে। ভগবানের মতো পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি রাখতে সময় পেলেই ছুটির দিনে ছুটে যান তারা এই সমস্ত পরিবারের কাছে। সাথে নিয়ে যান তারা নানা উপহার সামগ্রী। সেই রকমই আজও সকালে ছুটির দিন কাটাতে সকাল হতেই ব্যারাকপুর, পলতা, ইছাপুর অঞ্চলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বসবাসকারী অসহায় দুস্ত পরিবারের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাদের হাতে একটি করে ল্যাকটোজেন নামক স্বাস্থ্যকর আহার তুলে দেন রঘু এবং শুভ। তাদের এই প্রচেষ্ঠায় সাধুবাদ জানিয়েছেন এই এলাকার মানুষেরা।
Comments
Post a Comment