"সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সপ্তাহ" কর্মসূচি পালন করল ঐক্য বাংলা


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: কলকাতায় ধর্মীয় বিভাজন মূলক স্লোগান "গোলি মারো"ওঠে । সেই দিনটিকে কালো দিন হিসেবে চলতি বছরে ১লা মার্চ থেকে ৮ই মার্চ পর্যন্ত 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সপ্তাহ' পালন করল 'ঐক্য বাংলা' সারা সপ্তাহ জুড়ে বাঙালি জাতির মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করলেন বাংলার প্রথম মুক্ত পন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ঐক্য বাংলা।এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের পথে-ঘাটে-রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনগণের সাথে এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন । এমনকি বাংলার অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের কথা, লালন ফকির, কবি নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বলে যাওয়া সম্প্রীতির কথা বলেন তাঁরা।এই কর্মসূচির শুভ সমাপ্তি অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় কলকাতার রাণু ছায়া মঞ্চে। এই আলোচনার অনুষ্ঠানে ঐক্য বাংলার সদস্যরা এবং সাধারণ বাঙালী জনতারাও উপস্থিত ছিলেন । 
'ঐক্য বাংলা'  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতি সুলগ্না দাশগুপ্ত মনে করিয়ে দেন বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের কথা । তাঁর কথায় , " বাঙালি লালন ফকিরের রক্ত ধমনীতে বহন করে , যে লালন ফকির বলে গিয়েছেন 'জাত গেল জাত গেল বলে এ কি আজব কারখানা' , যে লালন ফকির জাত-ধর্মের উর্ধ্বে উঠে , ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে বাঙালিকে সাধনা ও মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।" বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বাঙালি দাঙ্গা করে না, ভারতের দাঙ্গার ৮৫% র জন্য দায়ী মূলত গো বলয়ের রাজ্যগুলি। রাস্তায় মানুষের মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা র ভিত্তিতে তিনি শোনান চরম আশাপ্রদ বার্তা, " বাঙালি সত্যিই অসাম্প্রদায়িক। যতজন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা একজন মানুষের কাছ থেকেও কোনো সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পাইনি আমরা।" তিনি আরো জানান বাঙালি অসাম্প্রদায়িক এটা সত্যি হলেও, বেশিরভাগ বাঙালি বর্তমানে মোটেই খুশি নয় রাজ্য এবং গোটা ভারতবর্ষে যেভাবে ধর্মীয় বিভাজন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা নিয়ে। 
অধিকাংশ বাঙালিই মনে করছেন সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো হচ্ছে এবং কয়েক দশক আগেও বাংলার পরিবেশ ও বাতাবরণ অনেক বেশি সম্প্রীতিমূলক ছিল। সুলগ্না দেবী আরো জানান , "ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের মূল নীতিগুলির একটি , কিন্তু মানুষের মধ্যে এমন ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে বাঙালি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মূলক কথা জনসমক্ষে বলতে ভয় পাচ্ছেন, 'সংখ্যালঘু তোষণকারী' তকমা পেয়ে যাবার আশংকায়।" তিনি আপামর বাঙালি কে আহবান জানান এই ঘৃণার চক্রান্ত রুখে দিতে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষা করতে।




Comments

Popular posts from this blog

‌বন্যাদূর্গতদের সচেতনতা ‌শিবির

আমরা ব্যতিক্রমী সংস্হার উদ্যোগে জাতীয় চিকিৎসক দিবস উদযাপন

বিরাটি সমন্বয়ের ডাকে প্রতীকী অনশন মঞ্চ