কোন্নগর রাজারেশ্বরী মন্দিরে জগৎগুরু শ্রীশ্রী শংকরাচার্যগুরুদেবের জন্ম উৎসব পালন
পুলক চক্রবর্তী, কোন্নগর: হুগলি জেলার বিখ্যাত রাজেশ্বরী মাতার মন্দিরে ধুমধাম সহকারে পালিত হলো পরম পূজনীয় জগৎ গুরু শ্রী শ্রী শঙ্করাচার্য গুরুদেবের ১০২তম জন্ম মহোৎসব তথা আবির্ভাব দিবস। উক্ত দিবসে সমগ্র মন্দির প্রাঙ্গণ এবং মন্দির গর্ভ গৃহ ফুল ঝান্ডা এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়। উক্ত দিবসে মন্দিরের দেবী জগদম্বা শ্রী রাজরাজেশ্বরী মাতা কে লাল বেনারসি এবং মুক্ত খচিত স্বর্ণালংকারে সুসজ্জিত করা হয়। সকাল থেকে চলে থাকে গুরুনাম সংকীর্তন ।সহস্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয় গুরুদেবের মূর্তির সামনে এবং মাতা রাজেশ্বরী মূর্তির সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয় ও গুরুদেব কে সহস্রধরনের ফল নিবেদন করা হয় ও অভিষেক করানো হয় স্বরূপেস্বর শিবলিঙ্গের। প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রী গনেশজি ও শৃং যন্ত্রের বিশেষ পূজা করা হয় অভিষেক। গুরুদেবের মূর্তিতে সহস্ত্র এক বিল্লোপত্রের মালা ও দুর্বার মালা এবং সহস্র এক পদ্মের মালা পড়িয়ে উক্ত দিবসের গুরুদেবের পাদুকার বিশেষ পুজা করা হয়। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ দলে দলে উপস্থিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে গুরুদেবের আরাধনা ও রাজ অভিষেকে সামিল হয় সকল ভক্তবৃন্দ। মন্দিরের ৬৪ যোগিনী দেবী দের বিশেষ পুজো করা হয়। সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয় সুশৃংখলভাবে। উক্ত দিবসে গরীব দুঃখীদের বস্ত্র দান করা হয়।
মধ্যাহ্নে সফল ভক্তবৃন্দকে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। উক্ত দিবসে গুরুদেবের এবং মাতা রাজরাজেশ্বরী দেবীর পূজা পাঠের উদ্দেশ্যে দূর দূরান্ত থেকে বিশেষ পূজারীরা উপস্থিত হয়। সমগ্র দিবস মন্ত্র মাধ্যমে মুখরিত হয়ে ওঠে। মন্দিরের বিশেষ পুরোহিত সচ্চিদ স্বরূপ বিশেষভাবে গুরু বন্দনা করেন এবং গুরু কৃপার সম্পর্কে বিশেষ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন ভক্তবৃন্দের সামনে ।সমগ্র ব্যবস্থাপনা সুদক্ষ হাতে পরিচালনা করেন মন্দিরের বিশেষ ব্রহ্মচারী মহারাজ শ্রীধর ত্রিবেদী ব্রহ্মচারী মহারাজ । তার ব্যাখ্যাতে প্রতিবারের মতো এবারেও মাতা রাজা রাজেশ্বরী মন্দিরে এই উৎসব পালন হচ্ছে। গুরুই আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক তাই গুরুর কৃপা আমাদের সকল ভক্তবৃন্দের মধ্যে বর্ষিত হয়ে চলেছে ।যার জন্য আমরা জীবন গঠনের মার্গ খুঁজে পাচ্ছি। এই আনন্দ উৎসবে ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি প্রতিবারই নজর কারে, যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে গুরু বন্দনা, তথা গুরু মহোৎসবের এই দিবস। আগামী দিনেও অখন্ড জ্যোতি হয়ে অক্ষুন্ন থাকবে এই মহোৎসব জগৎকল্যাণের জন্য। উক্ত দিবসে উপস্থিত ছিলেন গুরু পরিবারের শিষ্য ও সদস্যবৃন্দ ।
Comments
Post a Comment