সুন্দরবনের স্থায়ী সমাধান
প্রতি বছর অন্তত প্রায় ২ লক্ষ পর্যটক এই বাংলা ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ সুন্দরবন পরিদর্শন করতে আসেন। পরিদর্শনের সময় তারা থার্মোকলের প্লেট ব্যবহার করে এবং সেটিকে ওখানে রেখে যান। গ্রামের সামাজিক অনুষ্ঠানেও থার্মোকলের প্লেট ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা ভাবে এবং ব্যবহারের পর মানুষ সেই বর্জ্যের ফলক নদীতে ফেলে দেয়। এই অভ্যাস জীবজগতের জমি ও বাস্তুতন্ত্রের বিশাল নেতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব তৈরি করছে।
যেহেতু গ্রামাঞ্চলে সংলগ্ন নদী চড়ে মাছ এবং কাঁকড়ার ফলন যথেষ্ট নয়, তাই অসহায় গ্রামবাসীদের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় সামনে থাকে না। কাঁকড়া ও চিংড়ি সংগ্রহের জন্য বনের মূল অঞ্চলে পৌঁছানো এবং মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া অন্য পথ থাকে না। বলা চলে এটি মানব ও বন্য সংঘাতের প্রধান কারণ।
এই সমস্যাগুলির একটি স্থায়ী এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান তৈরি করতে কেএসসিএইচ আনুষ্ঠানিকভাবে বন অধিদপ্তর, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ (এসটিআর), সরকারের সহযোগিতায় সুন্দরবনের গ্রামবাসীদের জন্য বিকল্প জীবিকার একাধিক প্রকল্প চালু করেছে।
এই প্রকল্পের অধীনে পাঁচটি নতুন কাগজের প্লেট তৈরির ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে, যা বিদ্যা রেঞ্জের অধীনে একটি বনপ্রান্তের গ্রামের প্রান্তিক অংশ থেকে ১৩টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করবে। যা ১২৩ টি পরিবার কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিকল্প রোজগারের সহায়তা করবে।
উৎপাদন শেষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নৌকার মালিক ও হোম স্টে মালিকদের সঙ্গে সংযুক্ত করবে বন বিভাগ। সুন্দরবনে প্লাস্টিক ও থার্মোকল ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ। প্রকল্পটি সুবিধাভোগীদের জন্য একটি সরাসরি বাজার সংযোগ তৈরি করতে সক্ষম হবে।
Comments
Post a Comment