বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষোভ বাংলাপক্ষের
নিজস্ব প্রতিবেদন, পূঃ মেদিনীপুরঃ বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন দুই বিজেপি সাংসদ। যার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তর থেকে দক্ষিণ বিভিন্ন থানায় দুই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বাংলাপক্ষ। এবার ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংসদদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান হল পূর্ব মেদিনীপুরে।বিজেপি সাংসদ জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর বাংলাপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, “বাঙালির শত্রু, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি বাংলা ভাগ করতে চায়। তাদের দুই সাংসদ জন বারলা ও সৌমিত্র খাঁ বাংলা ভাগের দাবি তুলেছে। বাংলা ও বাঙালিকে বিপদে ফেলতে চায় বিজেপি। বাংলা পক্ষ ভারতের বাঙালির জাতীয় সংগঠন। বাংলা পক্ষ বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছে।”বিভিন্ন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে রবিবার ওই সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাংলা পক্ষের শাখার পক্ষ থেকে নন্দকুমার থানা এক বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করা হল। জেলা সম্পাদক সুতুনু পণ্ডিত নেতৃত্বে বাংলা পক্ষ বিক্ষোভ দেখায়। কোনও ভাবেই বাংলা ভাগ হতে দেবে না বাঙালি। বাঙালির রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে। এবার বঙ্গভঙ্গ আটকাতে বাংলা পক্ষর সৈনিকরা রক্ত দিতে প্রস্তুত। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন অনল জানা, বাপন মান্না, বাপি গুড়ে , সন্তু সামন্ত , নির্মল বর্মন, রূপক জানা, শুভংকর মণ্ডল, শুভংকর আচার্য , শান্তনু মাইতি সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বলে পরিচিত বাংলাপক্ষ রাজ্য ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব সময় লড়াইয়ে আছে। গোর্খাল্যান্ড চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ শিলিগুড়ি, কলকাতায় ঐতিহাসিক মিছিল করেছে এবং সারা রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করেছে৷ তাঁদের বক্তব্য, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বাঙালি সহ ভূমিপুত্ররা বিজেপিকে চূড়ান্ত ভাবে পরাস্ত করেছে। হারার পর থেকেই বাঙালির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে তৎপর বিজেপি।
বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালির শত্রু। যদিও এই বিষয়ে পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে একাধিক নেতা জানিয়েছেন যে বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্য গঠনের কোনও প্রকারের পরিকল্পনা বিজেপির নেই। দুই সাংসদ নিজেদের এলাকার অনুন্নয়নের কথা বলেছিলেন মাত্র। যদিও বিষয়টি নিয়ে বেস বিপাকে পড়েছে বিজেপির শির্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, দুই সাংসদকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দলের অন্দরে।
Comments
Post a Comment