পঞ্চ সংস্থার প্রয়াসে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে টিকাকরণ

গোপাল দেবনাথ, কলকাতাঃ গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনা অতিমারীর প্রকোপে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা প্রায় শেষ করে দিয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে গত বছর থেকে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। দেশ জুড়ে লকডাউন অতিমারীর প্রকোপ কিছুটা কমাতে পারলেও নির্মূল করতে পারেনি। গতবছর অর্থাৎ ২০২০ এর শেষের দিকে করোনা প্রকোপ একটু কম হলেও মাস্ক বিহীন মানুষের গা ছাড়া ভাব এই অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ মাত্র কয়েকদিন আগেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে নিয়েছে। অবশেষে এই বছরই সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের কল্যাণেই বাঁচবে মানুষের প্রাণ। সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সরকারি বেসরকারি সংস্থার সাথে সাথে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি ক্লাব সংগঠন মিলে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে করোনা অতিমারীর টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সহযোগিতায় ছিল কলকাতার নামজাদা সুরক্ষা ড্যায়াগনিস্টিক সেন্টার। গত ৪ঠা জুলাইয়ের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রসঙ্গে মিলন সমিতির সম্পাদক উমাপতি দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, অতিমারির সময় নিজেদের কে করোনা থেকে দূরে থাকতে হলে, কোভিড বিধি মেনে চলতেই হবে, আর আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষকে করোনা টিকাকরণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এটা অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি নিজে, এবং আপনার প্রতিবেশীদের ও উদ্বুদ্ধ করুন, যত বেশী পরিমানে এটা করা হবে, ততই সুরক্ষা বৃত্ত প্রসারিত হবে এর আগে আমরা সুকিয়া স্ট্রিট, বিদ্যাসাগর স্ট্রিট, বাদুরবাগান, আমহার্স্ট স্ট্রিট সংলগ্ন অঞ্চলের পাঁচটি সংগঠনমিলে যেমন ফাইট ক্যান্সার, বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির, আমরা সবাই ও হ্যাপি ক্লাব, বাদুড় বাগান পার্ক মর্নিং ওয়ার্কার্স এসোসিয়েশনে এবং মিলন সমিতি (ঋষিকেশ পার্ক) একত্রিত হয়ে ছিলাম, ডাক্তার সুবীর গাঙ্গুলীর তত্বাবধানে We Are the World এর ব্যানারে। করোণার বিরুদ্ধে লড়াই এ সামিল হয়েছি। এই মহুর্তে দেশ সহ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী বলা যেতে পারে। এই সময় যত বেশী সংখ্যক মানুষ কে টিকা করনের মধ্যে আনা যায় ততো ভালো। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দের মত অনুযায়ী করোনা অতিমারীর তৃতীয় ঢেউ প্রায় আসন্ন সেই উদ্দেশ্যে আমরা পাঁচটি সংগঠন গতকাল অর্থাৎ ৪ঠা জুলাই মিলন সমিতি প্রাঙ্গনে একটি টিকাকরণ শিবিরের আয়োজনের চেষ্টা করে ছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে সংবাদ মাধ্যমে বহুল প্রচারিত করোনা ভ্যাকসিন প্রতারকের কাহিনীর এমন রমরমিয়ে চলছে যে, কোনও বেসরকারী উদ্যোগে শিবির আয়োজন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

তাই আমরা সব সংগঠন মিলে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই এবং বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে , সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে  বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ওদের ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে আমরা যৌথ ভাবে পরিবহন ব্যবস্থা আয়োজনের মাধ্যমে ১৫১ জনকে কোভিশিল্ড টিকা দান করাতে পেরেছি, এই বিপুল খরচের মধ্যে আমরা যৌথ ভাবে কিছু অনুদান দিয়ে এই কঠিন সময়ে সাধারন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করলাম মাত্র।

Comments

Popular posts from this blog

‌বন্যাদূর্গতদের সচেতনতা ‌শিবির

রাজ্যপালের করা রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতার দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

বাঘাযতীন বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল ক্লাবের ৭৫ ভূমি পুজো