মায়াপুর ইসকনে মহাসমারোহে পালিত হল রাধাঅষ্টমী মহোৎসব
পুলক চক্রবর্তী, কোন্নগর: ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুর সহ বিশ্বব্যাপী সমস্ত শাখা কেন্দ্রীয় শ্রীমতি রাধারানীর শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব রাধা অষ্টমী যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও রীতিনীতি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাঁকজমক সহকারে পালন করা হয়। রসিক গৌরাঙ্গঁ দাস জনসংযোগ আধিকারিক ইসকন শ্রী মায়াপুর বলেন, রবিবার শ্রীমতি রাধারানীর আবির্ভাব মহোৎসব রাধা অষ্টমী পালন করা হচ্ছে। মন্দির প্রাঙ্গণ ফুল ও আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে, জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের বহু ভক্তই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। রাধা এবং কৃষ্ণ এক ও অভিন্ন, দুজনেই সমান, যেমন দুধ এবং তার ধবলত্ব, অগ্নি এবং তার দাহিকা শক্তি, যেমন অভেদ করা যায় না তদরুপ রাধা কৃষ্ণ এক আত্মা দুই তনুধারী। ভগবান যুগে যুগে ধরাধামে অবতীর্ণ হন লীলা বিলাসের জন্য। যেমন ক্রেতা যুগে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র লীলা সঙ্গিনী রূপে সীতা দেবীকে নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন ,দ্বাপর যুগে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ শ্রী রাধারানী অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ত্রিতাপ দগ্ধ দুঃখ জ্বালায় জর্জরিত জীবের নিজ স্বরূপ ভ্রষ্ট জীব সমুহকে পরম অমৃতময় পথের সন্ধান দিতে ৫২৫২ বছর আগে শ্রীমতি রাধারানী ভাদ্র মাসে শুক্লাষ্টমী তিথিতে সোমবার মধ্যাহ্নকালে রাভেল নামক গ্রামে বৃষ ভানু রাজার গৃহে কীর্তিদা দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের প্রতি রাধা রানীর ভালোবাসা তার প্রতি যে আকর্ষণ সেটি ছিল বিশুদ্ধ প্রেম। এই বিশুদ্ধ প্রেমের কণা মাত্র মানব কুল গ্রহণ করতে সক্ষম হলে ত্রিলোক ধন্য হবে। বর্তমান বিশ্ব সংকটে নরনারী যৌথ মিলিত শক্তিতে নবজাগরণ ঘটুক মানব সমাজে। রাধারানীর জীবন আদর্শ শিক্ষার প্রসার ঘটুক সমাজ জীবনে। একমাত্র মাতৃ শক্তি প্রকৃত উন্মেষ দিতে পারে আলোর সন্ধান। আজ শুভর রাধারানী র আবির্ভাব তিথিতে প্রার্থনা করি তিনি কৃপা পূর্বক জীবজগতের পরম কল্যাণ সাধন করুন।
Comments
Post a Comment