রাস্তার মোড়ে ফ্লেক্স টাঙানো , বিজ্ঞপ্তি কার নির্দেশে???

বলোরাম বোস, সোদপুরঃ  বেশ কিছুদিন হল সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে একটি ফ্লেক্স লাগানো হয় যাতে লেখা ১০ টনের বেশি যাত্রীবাহী অথবা পণ্যবাহী কোন যান চলাচল করা যাবে না । ফ্লেক্সটির মধ্যে কোন দপ্তরের নাম নেই । তাহলে ফ্লেক্সটি কাদের লাগালো ??? - প্রশ্ন উঠছে এখানেই ।  ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে না কি পিডব্লিউডি দপ্তরের পক্ষ থেকে না কি পানিহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে ? কারা এই ফ্লেক্সটি লাগিয়েছেন বা কোন দপ্তর এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন । উঠছে প্রশ্ন। 



আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় , উড়ালপুল মানে সোদপুর উড়ালপুল এটি। এই উড়ালপুল দিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে যশোর রোড, এন এইচ 34 যোগাযোগ হয় । অপরদিকে মধ্যমগ্রাম ব্রিজে হাইট বার লাগানো হয়েছে । যার ফলে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না । উত্তরবঙ্গ থেকে যে সমস্ত পণ্যবাহী গাড়ি কলকাতার দিকে আসবে তবে তারা কোন উড়ালপুল দিয়ে ডানলপ বা কলকাতার দিকে যাবে । এই ব্রিজ দুটি বন্ধ থাকার জন্য পণ্যবাহী গাড়ি বা ১০টনের বেশি ওজনের গাড়ি এই ব্রিজ দিয়ে যদি যেতে না পারে তবে তাদেরকে অনেক বেশি কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে , যার ফলে বিরাটির ব্রিজ এবং বেলঘরিয়া ব্রিজের ওপরের অংশে চাপ বাড়ছে । এমনিতেই বেলঘরিয়া ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভাল না । কয়েকটি জায়গা ভেঙে গিয়েছে।  ডানলপের নতুন ব্রিজ বন্ধ থাকায় এমনিতেই প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে ব্যপক আকারে।  তারপরে বেলঘরিয়া ব্রিজ দিয়ে অথবা বিরাটি ব্রিজ দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি আসলে তাহলে বি টি রোডের যানজটের ক্রমশ প্রকট বেড়ে চলবে।  বিটি রোডের উপর চাপ বাড়ছে । অপরিকল্পিতভাবে এই কাজ করার ফলে জিনিসপত্রের এমনিতেই আকাশছোঁয়া দাম । তারপরে পণ্যবাহী গাড়ি বা অন্য গাড়িকে যদি ঘুরে যেতে হয় তবে তার পেট্রোল খরচ অথবা ডিজেল খরচ অনেক গুন বেড়ে যাবে । শুধু এটাই বিষয় না,  এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় যে,  ব্রিজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা যেভাবে উচিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দেখাশোনা করা যেভাবে উচিত তার চেয়ে বড় একটা ঘাটতি আছে এই পোস্টারের মধ্যে দিয়েই । বলাই যায় যে,  কতটা অপদার্থতা এবং ব্যর্থতা । শুধু নীল সাদা রং করলেই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ হয় না । তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হলে ব্রিজের যে সমস্ত পিলার ঢালাই আছে সেগুলো খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় । এই ব্রীজ দুটি বন্ধ থাকার ফলে মানুষদের রোজ অনেক বেশি অসুবিধার মুখে পড়তে হয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে।  



সোদপুর অঞ্চলের মানুষের কথা বা অভিযোগ , রাতের বেলায় যখন মানুষ থাকে না , মানুষের চোখে পড়বে না এই ব্রিজের উপর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয় টাকার বিনিময়ে। এই অঞ্চলের মানুষের অভিযোগের মধ্যে দিয়ে আরেকটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে , প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে কাজ চলছে । এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে কত দিনে সোদপুরের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ব্রিজ এবং ডানলপ বে পি ডব্লিউ ডি রোড এর উপর দিয়ে ওঠা নতুন ব্রিজের কাজ কতদিনে শেষ হয় । আরেকটি প্রশ্ন উঠে আসে সোদপুর ব্রিজ দিয়ে যদি ১০ টনের বেশি ওজন হওয়া গাড়ি যাতায়াত করতে না দেওয়া হয় তবে বাস বা 407 807 907 এই গাড়িগুলো ওজন কোথায় মাপা হচ্ছে ?? 


Comments

Popular posts from this blog

‌বন্যাদূর্গতদের সচেতনতা ‌শিবির

রাজ্যপালের করা রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতার দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

বাঘাযতীন বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল ক্লাবের ৭৫ ভূমি পুজো