আমি ট্রেন্ড ফলো করি না, তৈরি করি
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ই সেপ্টেম্বর,২০২০: প্রয়াত বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত। গতকাল কড়েয়ার ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির বাথরুমের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। তবে বলাই যায়, শর্বরী দত্তের মৃত্যুটি অস্বাভাবিক। কারণ ঠিক স্পষ্ট না হলেও অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে তা পারিপাশ্বিক তথ্যের অসঙ্গির থেকে বলা যায়। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে তদন্তে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দুঁদে কর্তারা। ইতিমধ্যেই কড়েয়া থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্যে শর্বরী দত্তের মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে পরিবারের সাথে কথা বলার পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, সেখানে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। ক্রমশই সন্দেহ দানা বাঁধছে।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে যে, হরমোনাল মেডিসিন নিতেন। সেই ওষুধের ওভার ডোজ হয়ে যাওয়ার ফলে মাথা ঘুরে বাথরুমে পড়ে যান শর্বরী দত্ত। তখনই ওখানে পড়ে গিয়ে হৃদরোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান। পারিবারিক ডাক্তার অমল ভট্টাচার্যকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে শর্বরী দত্তের একটি ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।
এই ক্ষেত্রে উঠছে প্রশ্ন। শর্বরী দত্তের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় প্রশাসন। আর তাছাড়া শর্বরী দত্তের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়ে গিয়েছে। তাহলে কিভাবে পরিবারের চিকিৎসক প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, বাথরুমের সামনে শর্বরী দত্ত চিৎ হয়ে পড়েছিলেন। আর পুলিশ আসার পর তাকে বিছানার ওপর শায়িত অবস্থায় দেখা যায়। এই সমস্ত বিষয়ে প্রশাসনকে যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
কখনও নিজে বর্তমান ট্রেন্ড ফলো করে ডিজাইন তৈরি করতেন না শর্বরী দত্ত। সবসময় নিজেই ট্রেন্ড বানাই। বলতেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম পুরুষদের জন্যে Traditional পোশাকের রকমারি শৈলী প্রকাশ করেছিলেন তা আজও বহু পুরুষের গায়ের সাথে মিশে রয়েছে। নতুনত্বের সম্ভার নিয়ে সবসময় প্রস্তুত থাকতেন শর্বরী দত্ত। র্যাম্প শো, ফ্যাশন ম্যাগাজিন এমনকি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ফ্যাশনের নতুন সম্ভারের চাহিদা প্রচুর। যার কারণে শর্বরী দত্তের ডাক পড়ত। তাঁর অকাল প্রয়াণে ফ্যাশন জগত সহ সমস্ত চলচ্চিত্র জগৎ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Comments
Post a Comment