বিশ্বভারতীর নিন্দায় বিতর্কে জড়ালেন অগ্নিমিত্রা পাল
*****বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাতে কর্মসূচী পালন ঐক্য বাংলা সংগঠনের' ****
নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা : এর আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বেলাগাম মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি গণ ইমেইল কর্মসূচির আয়োজন করে 'ঐক্য বাংলা' ।
এবারও বিজেপি নেত্রী তথা বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের , " পৌষ মেলার মাঠে 'sex racket' ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে" মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপামর বাঙালি সমাজ তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বহুমুখী অনলাইন কর্মসূচির আয়োজন করল বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'ঐক্য বাংলা'।
ঠিক কি কি কর্মসূচির আয়োজন করল 'ঐক্য বাংলা' ?
ঐক্য বাংলা সংগঠনের প্রধান মুখ ও সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী সুলগ্না দাশগুপ্ত জানান , " বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল পৌষ মেলার মাঠে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন , একজন বাঙালি হিসেবে নিশ্চয়ই তাঁর কাছে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আমরা গণ ইমেইল কর্মসূচির মাধ্যমে জানতে চাই আদৌ এই ঘটনার কোনো সত্যতা রয়েছে কি না কিন্তু কোনো সংবাদমাধ্যমই তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আলোকপাত করতে পারেননি। সুতরাং ধরেই নিতে হচ্ছে তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। "
এখানেই না থেমে সুলগ্না দেবী আরো যোগ করেন , " পৌষ মেলার মাঠ সম্পর্কে এই ধরনের অভিযোগ আনার পরেও যেহেতু উনি উনার সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী সম্পর্কে এইধরনের মন্তব্য করার কারণে আমরা তাঁর মন্তব্যের বিষয়টি একটি গণ ইমেইল কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি।"
তবে কি শুধুই গণ ইমেইল কর্মসূচিই আয়োজন করছে ঐক্য বাংলা ?
মাথা নেড়ে ঐক্য বাংলা সংগঠনের সহ সম্পাদক দেবায়ন সিংহ বলেন , "একেবারেই নয়। গণ ইমেইল কর্মসূচি একটি কার্যকর পদ্ধতি মাত্র। এছাড়াও অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে #BoycottAgnimitraPaul অনলাইন ক্যাম্পেইন করছি। এই অনলাইন ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলার ভূমিসন্তানরা যাতে সমবেতভাবে , সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ করতে পারে।"
কিন্তু এত কিছুর পরেও যদি অগ্নিমিত্রা পাল তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান তখন ' ঐক্য বাংলা' কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ?
মৃদু হেসে ঐক্য বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিজিৎ গুহ নিয়োগী বলেন , " আগে এই ধরনের মন্তব্য করেও রেহাই পাওয়া যেত। এখন অন্ততঃ প্রতিবাদ তো হচ্ছে , সেটাই বা কম কি ?"
কার্যতঃ একই সুরে ঐক্য বাংলা সংগঠনের অন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঐক্যযোদ্ধা সৌম্য চৌধুরী জানান ," প্রতিবাদ ও জনমত গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ । বাংলার ভূমিসন্তানদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে সঠিক আকার দেওয়া আমাদের কর্তব্য।"
অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে অগ্নিমিত্রা পালের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অভিনব অনলাইন কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত গঠন করছে 'ঐক্য বাংলা'। এখন দেখার এটাই যে মাত্র ছ'মাস বয়সী বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠনটি তাঁদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয় কি না।
Comments
Post a Comment