প্রতিষ্ঠা দিবসে একঝাঁক নুতন চমকের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয়ের আভাস দিল বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন'ঐক্য বাংলা'


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি এক বছর পূর্ণ করল বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'ঐক্য বাংলা'। 

সেই উপলক্ষ্যে তারা সামাজিক মাধ্যমে গোটা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করে। সেই সঙ্গে প্রকাশ করে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। 


কি কি ভাবে সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের জন্মদিবস পালন করল 'ঐক্য বাংলা' ? 


'ঐক্য বাংলা'র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঐক্যযোদ্ধা সৌম্য চৌধুরী জানান, " আমরা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যকলাপের বিষয়ে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করি। সেই সঙ্গে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সদস্য, সহযোদ্ধা ও সমর্থক ভিডিওয় ঐক্য বাংলাকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। এছাড়াও সাংস্কৃতিক তথা সাহিত্য জগতের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের কাছ থেকে ব্যক্তিগত স্থরেও শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়া গিয়েছে। সর্বোপরি 'ঐক্য বাংলা'র তরফ থেকে সকল সমর্থকদের আমরা আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।"


শুধু সামাজিক মাধ্যমেই কেন বর্ষপূর্তি পালিত করা হল ? 


এই প্রশ্নের উত্তরে 'ঐক্য বাংলা'র সভাপতি শ্রী অভিজিৎ গুহ নিয়োগী বলেন, " সামাজিক মাধ্যমে আমরা বহু কর্মসূচি করে সাফল্য লাভ করেছি। সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ জানালে যে সামাজিক মাধ্যমেও অধিকার আদায় করা সম্ভব সেটা 'ঐক্য বাংলা'ই সর্বপ্রথম দেখিয়েছে । তাই আমাদের বর্ষপূর্তি উদযাপন সামাজিক মাধ্যমেই করা হয়।" 


আগামী দিনে 'ঐক্য বাংলা'র পরিকল্পনা কি ? 


'ঐক্য বাংলা'র সভানেত্রী তথা সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী সুলগ্না দাশগুপ্ত জানালেন, " যে কোনো ধরনের বাঙালি বিদ্বেষী বা বাংলা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা আগের মতোই কর্মসূচি গ্ৰহণ করব‌। এছাড়াও আমরা বাংলার মাটিতে বাঙালি যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই বিষয়ে জনমুখী মুক্তপন্থার ওপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক রূপরেখা গঠন করে কাজ করব। সেইসঙ্গে আগামী দিনে যেভাবে ভারতের বুকে এনপিআর - এনারসি - সিএএর মাধ্যমে বাঙালিকে বেনাগরিক করার যে প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা বদ্ধপরিকর।" 


তবে প্রতিষ্ঠা দিবসেও কিন্তু চমক রাখল 'ঐক্য বাংলা'। 

কি সেই চমক ? 


'ঐক্য বাংলা'র তরুণ সদস্য অরিন্দম নাগ বললেন , " বাংলার শিল্প-সাহিত্য - সংস্কৃতিকে উদযাপন করার জন্য গঠন করা হল 'ঐক্য বাংলা'র একটি শাখা যার নাম- "ঐক্য বাংলা সংস্কৃতি সংসদ"। বাংলার ভূমিসন্তানদের বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি তুলে ধরতে সবসময় সচেষ্ট থাকবে 'ঐক্য বাংলা সংস্কৃতি সংসদ' । " 


'ঐক্য বাংলা সংস্কৃতি সংসদের' প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ঐক্যযোদ্ধা অর্কজ্যোতি সেন কাজী নজরুল ইসলামের 'কুলি মজুর' কবিতাটি আবৃত্তি করে 'ঐক্য বাংলা সংস্কৃতি সংসদের' শুভসূচনা করলেন। 


অর্থাৎ খুব স্পষ্টভাবেই প্রতিষ্ঠা দিবসও নিজের ছাপ বজায় রাখতে সক্ষম হল 'ঐক্য বাংলা'। সেইসঙ্গে এটাও বোঝা গেল আগামী দিনে 'ঐক্য বাংলা' বিভিন্ন ইস্যুতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।

Comments

Popular posts from this blog

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি