লক্ষী পূর্ণিমায় শ্যামা পূজা
বিশ্বদিপ নন্দী, ১৩ই অক্টোবর, দিনাজপুরঃ পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। কিন্তু লক্ষী পূজোর তিথিতে শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হয়। সত্যি শুনলে অবাক লাগে। মনে হয় গল্পকথা।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের উদয়গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য পাড়ার মুখার্জি পরিবার সহ গোটা এলাকা মেতে উঠবেন সিদ্ধি কালি মায়ের পুজোয়। প্রতি বছর এই দিনের শুরু হয় কালী পূজা। তবে এই মুখার্জি পরিবারের সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজো নিয়ে রয়েছে বেশ রোমাঞ্চকর কাহিনী।
কথিত রয়েছে, আজ থেকে সারে তিনশো বছর আগে বাংলায় যখন বর্গী আক্রমণ ঘটে তখন বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রাম থেকে মুখার্জিদের বংশের একটি ধারা এই এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। সেই সময় মুখার্জিদের বংশের উপাস্য দেবী স্বপ্নাদেশে সিদ্ধি কালিকে দেখতে পান। এমনকি এই এলাকাতে কালী পুজো শুরুর আদেশও করেন। সেই থেকেই মুখার্জি পরিবারের সদস্যরা কোজাগরী লক্ষ্মী পুর্নিমায় সিদ্ধিকালী মায়ের পুজো করেন।
তবে এক সময় বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রামেও একই নিয়মে মুখার্জিদের অন্য শরিকরা মা সিদ্ধি কালির পুজো করেন। সেখানে পঞ্চমুন্ডির আসনে অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী সম্পুর্ণ তান্ত্রিক মতে পূজিতা হন। তাই এখানে পশু বলিরও প্রচলন আছে।
এই পুজোর একটি বিশেষত্ব হল যে, এই দেবীর আরাধনা করার সুযোগ এই বংশের মানুষ ছাড়া অন্য কেউ পুজো করতে পারেন না। দেবীকে ভোগ হিসাবে অন্ন ভোগ, মাছ, মাংস এই সব দেওয়া হয়। এছাড়াও দেবীর উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বলির মাংসের রান্না করা পদও দেবীকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়।
কথিত আছে, এই দেবীর কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে কাউকে ফেরান না তিনি। তাই দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্তের ভিড় চলে পড়ে, মায়ের কাছে আসার জন্যে।
বিশ্বদিপ নন্দী, ১৩ই অক্টোবর, দিনাজপুরঃ পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। কিন্তু লক্ষী পূজোর তিথিতে শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হয়। সত্যি শুনলে অবাক লাগে। মনে হয় গল্পকথা।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের উদয়গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য পাড়ার মুখার্জি পরিবার সহ গোটা এলাকা মেতে উঠবেন সিদ্ধি কালি মায়ের পুজোয়। প্রতি বছর এই দিনের শুরু হয় কালী পূজা। তবে এই মুখার্জি পরিবারের সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজো নিয়ে রয়েছে বেশ রোমাঞ্চকর কাহিনী।
কথিত রয়েছে, আজ থেকে সারে তিনশো বছর আগে বাংলায় যখন বর্গী আক্রমণ ঘটে তখন বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রাম থেকে মুখার্জিদের বংশের একটি ধারা এই এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। সেই সময় মুখার্জিদের বংশের উপাস্য দেবী স্বপ্নাদেশে সিদ্ধি কালিকে দেখতে পান। এমনকি এই এলাকাতে কালী পুজো শুরুর আদেশও করেন। সেই থেকেই মুখার্জি পরিবারের সদস্যরা কোজাগরী লক্ষ্মী পুর্নিমায় সিদ্ধিকালী মায়ের পুজো করেন।
তবে এক সময় বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রামেও একই নিয়মে মুখার্জিদের অন্য শরিকরা মা সিদ্ধি কালির পুজো করেন। সেখানে পঞ্চমুন্ডির আসনে অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী সম্পুর্ণ তান্ত্রিক মতে পূজিতা হন। তাই এখানে পশু বলিরও প্রচলন আছে।
এই পুজোর একটি বিশেষত্ব হল যে, এই দেবীর আরাধনা করার সুযোগ এই বংশের মানুষ ছাড়া অন্য কেউ পুজো করতে পারেন না। দেবীকে ভোগ হিসাবে অন্ন ভোগ, মাছ, মাংস এই সব দেওয়া হয়। এছাড়াও দেবীর উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বলির মাংসের রান্না করা পদও দেবীকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়।
কথিত আছে, এই দেবীর কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে কাউকে ফেরান না তিনি। তাই দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্তের ভিড় চলে পড়ে, মায়ের কাছে আসার জন্যে।
Comments
Post a Comment