ত্রিপুরার পুরাতন রাজবাড়ির কথা

 


বাণীব্রত দত্ত , ত্রিপুরা: রবীন্দ্রনাথ 'রাজর্ষি' ও 'বিসর্জন' লিখে বাড়িটির ব্যাপ্তি দিয়েছেন বিশ্বময়, বড় আকারে। তাই পৃথিবীজোড়া রবীন্দ্র-পাঠক এখানে এসে খুঁজে পেতে চান গোবিন্দমাণিক্য, নক্ষত্ররায়, গুণবতীদের। পান কি? নিশ্চয়ই, না। কেননা সেসব প্রসঙ্গ এখানে প্রদর্শিত বা লিখিত আকারে নেই। বলার মতো কোনো লোক নেই। গাইড নেই। তাই যে যার মতো দেখে বাড়ি ফিরে যান।

বাড়িটি ছত্রমাণিক্য (১৬৬১-১৬৬৭) নির্মিত। ১৬৬০ সালে একবার রাজা হলেও গোবিন্দমাণিক্যকে রাজত্ব হারাতে হয় ভাইয়ের কাছে। সেই নক্ষত্ররায়ের পর তিনি আবার মসনদে বসে বেশকিছু বছর রাজত্ব করেন এই প্রাসাদ থেকে। 

রাজামশাইয়ের বাসস্থান ছিল এই বাড়িটির পেছন দিকে। সেখানে ছিলো রাজার বৈঠকখানা, আরও কত কী। কেমন ছিল রাজার পোশাক, রাজার কনভয়, রাজদরবার, রাজার সকাল বিকেল? রাজার হাতি ও ঘোড়াগুলি কেমন ছিল? কি হয়েছিল সেবার রাজবাড়িতে আগুন লাগার পর? 



এসব কথা কি জানেন রাজনগর বা উদয়পুরের মানুষ, কতজন জানেন? আমি হলফ করে বলতে পারি অনেকেই অনেক কথা জানেন না।

১৭৬০ সালে এখান থেকে রাজধানী সরিয়ে নেন কৃষ্ণমাণিক্য। অর্থাৎ ১৬৬১-১৭৬১, এই ১০০ বছর ছিল এটা রাজ্যের কেন্দ্র। কারা কারা ছিলেন এই কেন্দ্রে, কেন সরে গেল রাজধানী?

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের