উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও ফিরলো না জুটমিলের শ্রমিকদের ভাগ্য, আশায় দিন গোনা মাত্র
বলোরাম বোস, কামারহাটিঃ কামারহাটি গ্রাম রোডে কামারহাটি জুট মিল শ্রমিকদের উপরে মিল্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উৎপাদন পরিমাণ দিনের পর দিন বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিসিফট থেকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। যাতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তার জেরে কামারহাটি জুট মিলের বিম ডিপার্টমেন্টে তিনটে শিফটে কাজ করে প্রায় দেড়শ জনের বেশি শ্রমিক এবং কামারহাটি জুট মিলে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের উপর বিম ডিপার্টমেন্টে প্রথমে কাপড় উৎপাদনের সংখ্যা ছিল 40 থেকে 50 তা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে 90 তে গিয়ে ঠেকে। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপরে চাপ দিচ্ছে। একশ কুড়িটি করে বিম উৎপাদন করতে হবে এবং শ্রমিকদের অভিযোগ চায়না মেশিন বসানোর পর থেকে শ্রমিকদের উপরে কোন কাজের চাপ বাড়াচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ একজন শ্রমিক ছটি চায়না মেশিন চালাতে হয়। এইভাবে শ্রমিকদের উপরে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে মালিক কর্তৃপক্ষ উৎপাদনের চাপ বারা চেষ্টা করা, দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় কয়েকদিন ধরে। বিম ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা মালিকদের চাপে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছিল। এদিন সকাল থেকেই এই ক্ষিপ্ততা বাড়তে থাকে বিশিফটে। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে প্রথমে ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে। তারপরে কারখানার সমস্ত ডিপারমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ জারি করেনি। এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে যে, কারখানা কর্তৃপক্ষ কি নোটিশ জারি করে। যার উপরে নির্ভর করছে তিন হাজারের উপর শ্রমিকের ভবিষ্যৎ। কারখানা খোলা থাকবে না কি বন্ধ হবে? এখন দেখার বিষয় সেটিই। ইংরেজি বছরের শেষে কামারহাটি জুট মিল খোলা থাকছে না বন্ধ হচ্ছে তার অপেক্ষায় থাকতে হবে শ্রমিকদের।
Comments
Post a Comment