রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উপনির্বাচনে জয়ী করার আবেদন নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা সোচ্চার

গোপাল দেবনাথ, কলকাতা: এই রাজ্যের সকলের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায় কে এত শ্রেণীর মানুষ পছন্দ করেন যেটা লিখে শেষ করা যাবে না। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি উপনির্বাচ কে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত আবেগ ও ভালোবাসা সেটা বলে বোঝানো সম্ভবপর নয়। এই ভবানীপুর কেন্দ্রেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এই জননেত্রী কে নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী করানোর জন্য আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ একাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ একত্রিত হয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস এর সর্বভারতীয় চেয়ারম্যান বুম্বা মুখার্জী, অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ফরিদ খান, সুফি হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারপার্সন সোফিয়া খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বুম্বা মুখার্জী, সোফিয়া খান, ফরিদ খান, বৌদ্ধ ধর্মগুরু অরুনজ্যোতি ভিক্ষু, এঞ্জেলিনা মনটোশ জাসনানি বলেন, এক গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয়ের সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে আমরা। বাংলার মাটিতে এমন গুরুত্বপুর্ণ সময় এর আগে তেমন ভাবে উপস্থিত হয়নি। আমাদের একটি সিদ্ধান্ত আগামীর বাংলাকে কোন পথে নিয়ে যাবে তা ঠিক করে দেবে। আমরা জানি, বিশ্বাস রাখি, মানুষ তাঁদের সঠিক সিদ্ধান্ত-ই গ্রহন করবেন। তবু মানবিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের আবেদন ভবানীপুরের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কাছে।

আপনারা জানেন, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ভোটে জয়, তাঁকে সম্মানের সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে নিশ্চিত করবে। আমরা কোনও রাজনৈতিক আবেদন করছি না। মানবিক ও সামাজিক স্তরে রাজ্যের বর্তমান সমস্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের আবেদন আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করে রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

গত ১০ বছরের বেশী সময় ধরে আমরা রাজ্যে একের পর এক শুভকাজের পরিবর্তন দেখেছি। এই রাজ্যের নাগরিকদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার অভাবনীয় ভাবে মানুষের পাশে আছে। একদিকে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, অন্যদিকে শিল্পতালুকে বিনিয়োগ রাজ্যে এক নতুন দিগন্ত এনেছে। মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু জনমুখী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে। কন্যাশ্রী এনেছে আন্তর্জাতিক সম্মান। স্বাস্থ্যসাথী সারা বাংলার মানুষের কাছে ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। রেশনের খাদ্যসাথী, বাংলার গৃহ আবাস যোজনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছুতেই মানুষের পাশে সরকার রয়েছে সর্বোতোভাবে। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বাংলার নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

এই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক নজির দেখা গেছে। উৎসবে আনন্দে, মেলায়, খেলায় এক অনন্য ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে। তাই এই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রয়োজন। তাঁর দুরদর্শিতায় এগিয়ে চলবে বাংলা। আমাদের মত স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোর তাই আবেদন, শুধু জয় নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুরে এমন ব্যবধানে জয় এনে দিন, যাতে গোটা দেশের কাছে এই বার্তা’ই পৌঁছে যায়, যে দেশে আগামীর জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজেন সিদ্দিকী, শুভাশীষ গুহ সহ বিশিষ্ট সমাজসেবীগণ।  

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের