আজ আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস

 


সৃঞ্চিণী পোদ্দার: আজ ৫৫ তম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ শে অক্টোবর ইউনেস্কোর ১৪তম এক সাধারন সম্মেলনে এই ৮ই সেপ্টেম্বর - এই তারিখটিকে "আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো এই দিনটিতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। 


শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা মানুষকে সমাজের আর পাঁচটা প্রাণীর থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সঠিক শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলা এবং যথাযথ শিক্ষা পদ্ধতি একটি দেশের উন্নয়নকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। তাই শিক্ষার খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে প্রথম যখন এই দিনটি উদযাপিত হয় তখন তার মূলত তিনটি লক্ষ্য ছিল। এক, ব্যক্তি বিশেষে সাক্ষরতার গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া। দুই, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে শিক্ষার মাহাত্ম্য এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করে তোলা। সর্বশেষ এবং তিন, সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। এরপর থেকে জাতিসংঘের অন্তর্গত সমস্ত দেশে প্রায় এই দিনটির উদযাপন করে আসছে।

দেশ ও দেশের স্বাক্ষরতার সংখ্যা অনেক আগে থেকে প্রচলিত আছে ঠিকই। ১৯৬৭ সাল থেকে ইউনেস্কোতে প্রথম সাক্ষরতার সংঘা চিহ্নিত করা হয় এবং পরবর্তী সময় প্রতি দশকে এ সংখ্যার রূপ বদলে যায়। ব্যক্তি সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে শিক্ষার গুরুত্ব পৌঁছে দিতে নানা রকমের ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

সাক্ষরতার বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় । শুধুমাত্র তাই নয় । অর্থনৈতিক মুক্তি ও নয় । বরং সমাজের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক মুক্তি আনার মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা একমাত্র লক্ষ্য ; কারণ সাক্ষরতা শান্তি স্থাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে বিশ্ব সম্পর্কে ভালো ধারণা সাক্ষরতা কাজ করে। তাই বলা যেতে পারে সাক্ষরতার সঙ্গে শান্তি সম্পর্ক ও যোগাযোগ আত্মহত্যাই পরিপূরক সংঘাতপূর্ণ যে দেশগুলোকে সাক্ষরতার পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অনবরত সংগ্রাম করতে হচ্ছে কারণ একটি শিক্ষিত সমাজে হিংসার সংখ্যা অপরাধের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসে।


১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যন্ত স্বাক্ষরতার দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে গিয়েছে দেশ। ২০১৮সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী , দেশের স্বাক্ষরতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৭৪.৩০ শতাংশে । তবে দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে তুলনায় সংখ্যা বেশি কেরলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। অশিক্ষার হারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ।  

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসার শিক্ষার সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাথীর বেশি তথাকথিত উন্নত রাজ্যে শিক্ষার হার অত্যন্ত শোচনীয়। দক্ষিণ ভারতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শিক্ষার হার সবথেকে বেশি খারাপ। এরপর রয়েছে বিহার রাজ্যের শিক্ষার হাড়ের দুরবস্থা। তার থেকেও শিক্ষায় খারাপ অবস্থা তেলঙ্গানাতেও।

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের