বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এর কারণে বিধায়িকার আদালতে আত্মসমর্পণ


সঞ্জয় মন্ডল, বাঁকুড়া :- বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আগষ্ট মাসের মাঝা থেকে সরগরম জেলার রাজনীতি।এই ঘটনায় রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসে বিজেপির বিধায়ক। আচমকাই  চাউর হয়েছিল যে বিধায়ক চন্দনা বাউরি তার গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডু নাম এক ব্যক্তি কে বিবাহ করেছেন।পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে যখন কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু তার স্বামী ও চন্দনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রুম্পা কুন্ডুর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করে। গত ১৯শে আগস্ট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর বাঁকুড়া জেলার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি এবং তার গাড়িচালক কৃষ্ণ কুন্ডুর গোপন প্রেম কাহিনী প্রকাশ্যে আসে। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও লাইভে এসে সেইদিনই বিধায়ক চন্দনা বাউরী তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু গঙ্গাজলঘাটি থানার শালতোড়া আর বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বং তার স্বামী কৃষ্ণ কুন্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গত চারটি মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। সে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপি বিধায়ক এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারায় (বধূ নির্যাতন), ৪৯৪ ধারায়  (বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক), ৪০৬ ধারায় (বিশ্বাসভঙ্গ) এবং ৫০৬ ধারায় (হুমকি দেওয়া) মামলা রুজু করে। এই চারটি মামলার ভিত্তিতে আত্মসমর্পণ বিধায়কের।


এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন " গরীব পরিবারের একজন মহিলা পদ্ম প্রতীকে জিতেছেন বলেই  চন্দনার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এইসব এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।তিনি আরো জানান আইন এর উপরে তাদের পূর্ণ আস্থা আছে।পাশাপাশি তিনি একথাও বলেন এই ঘটনা শাসক দলের চক্রান্ত। যদিও এইদিন চন্দনা বাউরি কোন মন্তব্য করেন নি।কার্যত তিনি সাংবদিকদের এড়ানোর চেষ্টা করেনক।হা নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান শালতোড়া বিধায়ক চন্দনা বাউরি। সঙ্গে ছিলেন তার গাড়ী চালক তথা বর্তমান স্বামী কৃষ্ণ কুন্ডু। 

এদিন বারাসাত জেলা আদালতে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা গেলেও তাতে আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী সজল বারিক। তিনি বলেন, বারাসাতে সাংসদ এবং বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালত রয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ এর কথা মনে করিয়ে দেন তিনি । এরপর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেন চন্দনা। তবে এ প্রসঙ্গে বিচারক জানিয়েছেন, এখানে বিধায়কের বিচার হবে না। বারাসাতে যেখানে সাংসদ এবং বিধায়কদের আদালত রয়েছে বিচারের জন্য সেখানে যেতে হবে চন্দনাকে সেখানে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং তার সেখানেই বিচার হবে। তা না হলে বিধায়ক চন্দনার বিচার বিভাগীয় পুলিশ হেফাজত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দনার আইনজীবীর লোকেশ মুখোপাধ্যায় জানান, "বারাসাত আদালতে আমরা পেশ করে চন্দনার জামিনের আবেদন করব। তবে কি অভিযোগ এবং কিসের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেই মামলা তা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখব। তবে কবে নাগাদ উনি আত্মসমর্পণ করবেন তা বিজেপির আইনজীবীর ঠিক করবেন।"

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের