মিলন সমিতি ক্লাবে পাঁচ সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবির

গোপাল দেবনাথ, কলকাতাঃ গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের প্রথম থেকেই বিশ্বজুড়ে করোনা করোনা করে সাধারণ মানুষের ধনে প্রাণে মরে যাওয়ার জোগাড়। প্রাণ হাতে নিয়ে কেবল ছুটে বেড়াচ্ছে আমজনতা। করোনা অতিমারীর আগে কি অন্যান্য রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না! নাকি সেই সময় অন্যান্য রোগে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়নি? সব কিছুই ছিল, কিন্তু সব যেন কেমন ওলট পালট হয়ে গেলো।

করোনা আক্রান্তের ঠেলায় অন্যান্য রোগাক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দফা রফা হয়ে গেছে। এমন কি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয় করতে না পারার কারণে বহু সাধারণ রোগীর অকালে প্রাণ গেছে। করোনা আক্রান্তের দৈনন্দিন সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা সরকারের কাছে নথিবদ্ধ থাকলেও সাধারণ রোগীদের আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

অতি সাধারণ রোগীদের রোগ নির্ণয়ের কথা ভেবে গত ২৯ আগস্ট উত্তর কলকাতার হৃষিকেশ পার্কে মিলন সমিতির ক্লাব ঘরে এক স্বাস্থ্য পরীক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনে যে মানুষটির কথা প্রথমে বলতে হয় তিনি হলেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুবীর গাঙ্গুলী। " We are the World " ব্যানারে  ডাঃ গাঙ্গুলীর তত্ত্বাবধানে সমগ্ৰ স্বাস্থ্য শিবিরটি আয়োজিত হয়। এই মানব দরদী কাজে হাতে হাত মিলিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির, ফাইট ক্যানসার, আমরা সবাই এবং হ্যাপী ক্লাব, বিদ্যাসাগর পার্ক মর্নিং ওয়াকারস এসোসিয়েশন এবং মিলন সমিতি (হৃষিকেশ পার্ক)।

এই মহান উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বায়োভারতী লাইফ সায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সাই ডিয়াগো এবং CSIR - Indian Institute of Chemical Boilogy, Jadavpur । এই স্বাস্থ্য শিবিরে রক্তের মাধ্যমে এন্টিবডি পরীক্ষা ছাড়াও রক্তের শর্করার মাত্রা নির্ণয় করা সেই সাথে রক্তের চাপ পরীক্ষা ও অক্সিজেনের মাত্রার পরিমাপ করেন মেডিকেল ইউনিটের সদস্যগণ। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১০০জন এই পরীক্ষাটি করিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্য কেমন আছে সেটা বোঝার জন্য ৪০ জন তাদের ইকো কার্ডিওগ্রাফি (ই সি জি) করিয়েছেন।

শরীরের হাড়ের ক্ষয় বুঝে চিকিৎসা করার জন্য ডি এম ডি পরীক্ষা করিয়েছেন ৩০ জন। সব শেষে নার্ভের সেনসিটিভিটি বোঝার জন্য এন ডি সি নামে বিশেষ পরীক্ষা এই স্বাস্থ্য শিবিরেই আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। প্রায় ২৫ জন সম্ভাব্য রোগী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এই স্বাস্থ্য শিবিরের সহায়তায় ছিলেন সেরাম এনালিসিস সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়েদেন Covid Rukhte আমরা। সাংবাদিকদের সামনে পুরো তথ্য তুলে দেন মিলন সমিতির সম্পাদক উমাপতি দত্ত এবং সভাপতি সঞ্জিত মিত্র। এই স্বাস্থ্য শিবিরটি করোনা অতিমারী বিধি মেনেই আয়োজন করা হয়েছিল। এই স্বাস্থ্য শিবির কে কেন্দ্র করে সংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল নজরকাড়া। 

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের