আদিগঙ্গার পরিণতির কাহিনী ও বর্তমান কলকাতায় মৃত আদিগঙ্গার অভিষাপ

কলমে - সৌগত দত্ত, রাজনৈতিক বিশ্লেষক 



হ্যাঁ , ওটাই আদিগঙ্গা ; হ্যাঁ , ওই যে ওই কালিঘাটের পশ্চিমদিকে সরু হয়ে বেঁকে যাওয়া যে নর্দমাটি দেখা যায় , সেটার জলই একসময় মানুষ পুন্যলাভের আশায় মাথায় নিতো ।

সত্যি বলতে কি , একটা লম্বা সময় ভবানীপুরে কাটানোর পরেও কোনোদিন সেখানে কারও মুখে লক্ষ্য করিনি ওই প্রাচীন জলধারার সম্পর্কে কোনো বিশেষ কৌতুহল বা গুরুত্বের চিহ্ন , কেবল শুনেছিলাম আদিগঙ্গা নামটুকুই । স্বভাবতই , কেই বা একটা নালা বা নর্দমা নিয়ে গুরুত্ব দেখায় যতক্ষণ না বর্ষাকালে সেটার জল ছাপিয়ে এলাকার পরিবেশকে দূষিত করে । আর ঠিক এই কারণেই  হয়ত ওখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের কাছে আজকের 'আদিগঙ্গা' নামক নর্দমাটি এরকমই একটা দূষণের বোঝা এবং বর্ষাকালের ভোগান্তি ।


আদি গঙ্গার ইতিহাস শুনলে আজ আমার বয়সী কলকাতার প্রায় সব ছেলেমেয়েদের কাছেই হয়তো এক রূপকথার গল্প বলে মনে হতে পারে । যদিও অবৈধ নির্মাণকার্য ,জমি মাফিয়া - এসসবের জন্য আদিগঙ্গা সংলগ্ন এলাকাগুলি প্রসিদ্ধির কথা সর্বত্রই শোনা যায় এবং কিছুদিন আগেই যেহেতু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিকটে আদিগঙ্গার জলে নেমে পার্শ্বশিক্ষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন তাই , সোস্যাল মিডিয়ায় 'আদিগঙ্গা' লিখে সার্চ করলে কেবল সেই খবরটা ভেসে ওঠে এখোনো । আর এই বিধানসভা নির্বাচনে তথা বর্তমান ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি এই আদিগঙ্গা ইস্যুকে বিশেষ হাতিয়ার বানিয়ে একটু তোড়জোড় শুরু করে বাজার গরম  না করলে, আমিও হয়তো এর ইতিহাস ও বিবর্তন নিয়ে এত গবেষণায় বসতাম না । 

যখন একের পর এক তথ্য হাতে আসতে থাকলো, তখন যেন নিজের মানসচক্ষে ওই নোংরা পচা কালো জলের নর্দমার দৃশ্যপটে ক্রমশ ফুটে উঠতে থাকল  এক সুদৃশ্য  সুনাব্য কল্লোলিনীর রূপ। কলকাতার প্রাচীন ছবিগুলিতে দেখা কালিঘাট মন্দিরের রূপটির সত্যতা যেন এখন উপলব্ধি করতে পারি। ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে বড়িশার জমিদার বংশ তৈরি করেছিলেন কালিমন্দিরটি। বাণিজ্যিক ও তীর্থ দর্শনার্থীদের প্রয়োজনে তৎকালীন নাব্যতা বিশিষ্ট আজকের এই আদিগঙ্গা নদীটির তীরে কালিমন্দিরের পাশে তৈরি হয়েছিল ঘাট। আসলে প্রাচীনকালে (সম্ভবত ষোড়শ শতাব্দীর আগের কথা ) এই জলধারার পথটিই  ছিল হুগলী নদীর মূল প্রবাহপথ। কথিত আছে ব্যান্ডেলের কাছে ত্রিবেণীতে তিনটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভাগীরথী নদী , দক্ষিণ পশ্চিম দিকে 'সরস্বতী' নামে সপ্তগ্রামের পাশ দিয়ে বজবজ,ফলতা, ডায়মন্ড হারবার হয়ে সমুদ্রে মিশত ; দক্ষিণ-পূর্ব দিকে 'যমুনা' নামে ( উল্লেখ্য, এই নদীটির সাথে উত্তর ভারতের যমুনা নদী অথবা বাংলাদেশের যমুনা নদীর কোনো সম্পর্ক নেই )  এবং মাঝখান দিয়ে বয়ে যেত 'হুগলী' নামে । এখন যেখানে প্রধান কলকাতা শহর সেখানে হুগলী নদী বাঁক নিতো এবং কালীঘাট , বারুইপুর , মগরা , গোচরণ , জয়নগর , ছত্রভোগ , কাশীনগর ও কাকদ্বীপের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে মিশত ।  এই আদি খাতটিকেই বলা হয় আদিগঙ্গা। সরস্বতী নদীর সেই উচ্চপ্রবাহটি এখন শুকিয়ে গেছে আর হুগলী নদী আদিগঙ্গাকে ত্যাগ করে এখন সরস্বতী নদীর নিম্ন প্রবাহটি ধরে সমুদ্রে মিশেছে । কোনো কোনো মতে অতীতে নবাব আলিবর্দি খানের সময়কালে  আদিগঙ্গার ধারাটি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃত্রিম খালের সাহায্যে সরস্বতী নদীর নিম্ন প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল । আবার অন্য মতে ওলন্দাজ বণিকেরা জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য গঙ্গা ও সরস্বতীর মোহনার কাছে থাকা একটি জোয়ারের জলে পুষ্ট খাঁড়িকে বিভক্ত করেছিল ।

যাইহোক আদিগঙ্গার আদিপর্বে অস্তিত্ব সংকটের  কারণ নেহাতই প্রাকৃতিক নাকি কৃত্রিম এ নিয়ে একটু  দ্বন্দ্ব থাকলেও আদিগঙ্গার মহিমার কথা তারপরেও শতকের পর শতক ধরে জনমানসে উজ্জ্বল ছিল । কারণ এই নদীর সাথে জড়িয়ে আছে বহু হিন্দু পুরান ও লোকসাহিত্যের স্মৃতি। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচল যাত্রার পথে এই আদিগঙ্গার তীরেই ভক্তদের সাথে কিছুদিন কাটিয়েছিলেন । খুব সম্ভবত সেই স্থানটিই আজকের দিনে 'বৈষ্ণবঘাঁটা' নামে পরিচিত । আবার বিভিন্ন মঙ্গলকাব্যের সাহিত্যেও বার বার উল্লেখিত হয়েছিল আদিগঙ্গার কথা । আদিগঙ্গার পথ ধরেই কখোনো‌ মনসামঙ্গলে শোনা যায়  চাঁদ সৌদাগড়ের বাণিজ্যযাত্রার কাহিনী , তো কখোনো চন্ডীমঙ্গলে শোনা যায় ধনপতি সৌদাগড়ের পুত্র শ্রীমন্ত সৌদাগড়ের সিংহল যাত্রার কাহিনী। কিন্তু পরবর্তীকালে হয়ত ইংরেজ-ইউরোপীয় প্রভাবের সূচনা হওয়ার সাথে সাথে বাংলার সেই মধ্যযুগীয় ঐতিহ্যগুলি সম্পর্কে এক বৃহৎ অংশের তথাকথিত আধুনিক মানুষজনের অনীহা জন্মাতে দেখা গেছিল । তাই ক্রমশ‌ কালের প্রবাহের  সাথে সাথেই কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে থাকে আদিগঙ্গার সেই গৌরবময় মহিমার কথা এবং আজকের কলকাতায় একমাত্র একটু সাহিত্যপ্রেমী বা ইতিহাসপ্রেমী হাতে গোনা কিছু মানুষজন ছাড়া হয়ত আর কারও চর্চার মধ্যে নেই ওসব ঐতিহ্যের কথা। 

যদিও ইংরেজ আমলে তখন অবলুপ্তপ্রায় ওই জলধারাটিকে কিছুবার সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা যায় এবং সেজন্যই হয়তো একটা বিকৃত নালার রুপে হলেও ওই ঐতিহাসিক নদীটির অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ রূপটি দেখা যায় । 

১৭৭৩ সালে কার্নেল উইলিয়াম টালি এই মজে যাওয়া নদীটিকে খননকার্যের মাধ্যমে সার্কুলার খালের সাথে যুক্ত করেন যেটা পরে 'টালির নালা ' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীকালে ১৭৭৫ সালে কর্নেল টালি আদিগঙ্গা সাথে বিদ্যাধরী নদীর যোগ স্থাপন করেছিলেন। তবে যাই হোক অষ্টাদশ শতাব্দীর পর থেকেই মোটামুটি , আদিগঙ্গা তার 'গঙ্গা'  রূপটি ত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে এক নিকাশি নালার রূপ ধারণ করতে বাধ্য হয় । আর অন্যদিকে নগরায়নের ফলে শুকিয়ে যাওয়া অধিকাংশ অংশগুলির পর , স্থানে স্থানে যেখানে অবশিষ্ট জল

বাকি ছিল সেগুলি 'ঘোষের গঙ্গা', 'বোসের গঙ্গা' প্রভৃতি নাম ধারণ করে আজকেও একপ্রকার 'অস্তিত্বের জন্য জীবনসংগ্রাম'‌ করে চলেছে ।


আজকের দিনে সেই আদিগঙ্গা সম্পূর্ণরূপে তার ইতিহাস -ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যকে খুইয়ে কেবল পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের এক  দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । আর অন্যদিকে স্বাধীন ভারতের সূচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত একের পর রাজনৈতিক চক্রান্ত , অবৈধ নির্মাণকারী ও জমি মাফিয়াদের রমরমায় যেন প্রকাশ্যে দিবালোকে আদিগঙ্গার কফিনে শেষ পেরেক গুলি পোঁতা হচ্ছে । এই মুমূর্ষু নদীর শ্বাসরুদ্ধ তো তখনই হয়েছিল যখন ২০০৯ সালে সম্পূর্ণ হওয়া টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রোপথ স্থাপন হয়েছিল । তখন এই মুমূর্ষু আদিগঙ্গার বুকে ৩০০ টি পিলার স্থাপন করা হয়েছিল । শোনা যায় এ নিয়ে জনগনের মধ্যে বিক্ষোভও দেখা গেছিল এবং জনস্বার্থে হাইকোর্টের দ্বারস্থও  হয়েছিলেন অনেক পরিবেশপ্রেমী , কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রচেষ্টা বিফল হয়েছিল । আর এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পার্টির দাদাদের সাথে জমি মাফিয়া , দখলদার ও অবৈধ নির্মাণকারী ভাইদের যে সম্পর্কের ধারা, তা চলে আসছে সুদূর বাম আমল থেকেই । ১৯৯৮ সালে অর্থাৎ বামফ্রন্ট সরকারের আমলে হাইকোর্টে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে সরকার স্বীকার করেছিলো , হেষ্টিংস থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ১৫.৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই জলধারাটির উপরে তৎকালীন ৭৮৫১ টি অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছিল যাতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা তখন ৪০০০০ ছিল । এছাড়াও সেই প্রতিবেদনে গুদামঘর ও গবাদিপশুর শেডের কথাও উল্লেখ ছিল । 

আজকের পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে শাসকদল , পরিবর্তিত হয়েছে অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ ।  গত বেশ কিছু বছর ধরে আদিগঙ্গার সংস্কারের জন্য  কাগজে- কলমে কলকাতা পুরসভা বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনেকগুলো উদ্যোগের কথা শোনা যেতে পারে কিন্তু আদিগঙ্গার অবস্থার কোনো উন্নতি চোখে পরার মতো নয় ‌। উল্টে আজকের এই বৃষ্টি-বর্ষার দিনে জল থৈ থৈ শহরে বড়োই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে আদিগঙ্গা। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার সবই আদিগঙ্গার সাথে মিশেছে । পরিবেশ বিশারদদের মতে ," আদিগঙ্গার রিভার বেডের উচ্চতা ৬-১০ ফুট। অনেকদিন পলি না কাটার ফলে জলধারণ ক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে । এবার বর্ষাকালে অতিবর্ষনে আদিগঙ্গা যখন ভর্তি হয়ে যায় তখন আদিগঙ্গার সাথে যুক্ত দক্ষিণ কলকাতার কোনো নিকাশি ব্যবস্থার মাধ্যমেই জল বেরোতে পারে না , যার কারণে এখন যেরকম কালিঘাট , চেতলাসহ দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ এলাকাগুলি প্লাবিত হচ্ছে সেরকম প্রায় প্রতি বর্ষাকালেই হয় ।" এরকম পরিস্থিতিতে জলদূষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় । আদি গঙ্গার জল এইসময় ভূগর্ভস্থ জলের পাইপলাইনের সাথে মিশে যায় , ঠিক যেমনভাবে এর আগেও বহুবার দূষিত পানীয় জলের অভিজ্ঞতা ভবানীপুরবাসী অনেকবার পেয়েছে । বিশিষ্ট পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ্  S.M. Ghosh জানিয়েছেন - " Adi Ganga, an open canal in Kolkata, constitutes a dump to a large part of the urban wastes produced. The constant and uncontrolled disposal of the wastes contributes to the degradation of water quality of Adi Ganga, which in turn might have adverse effect on groundwater in the adjoining areas. Surface water (SW) and groundwater (GW) collected from six locations along Adi Ganga were analyzed to understand the extent of degradation caused due to SW pollution. Among the important water quality parameters and heavy metal analysis - dissolved oxygen, turbidity, total hardness, alkalinity, biological oxygen demand, oil and grease and zinc of both SW and GW were found to be much greater than their respective permissible limits (WHO, 2004). Both the SW and GW samples depicted phosphate and bicarbonate beyond their recommended values "

তাই বলতে হয় , সেই আদি কলকাতার গৌরব‌ সেই আদিগঙ্গাটি আজ আধুনিক কলকাতার এক অভিষাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 'The Third Pole' নামক এক জনৈক সংবাদমাধ্যমের পোর্টালে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে , জাতীয় গঙ্গা অববাহিকা প্রকল্পের ( National Ganga River Basin Project ) আওতায় সরকার আদি গঙ্গা দূষণ নির্মূলের জন্য একটি উপপ্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল , সেটি বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়  কলকাতা পৌরসভা কর্পোরেশনের বাস্তবায়ন করার কথা ছিল, কিন্তু তখনও প্রকল্পটি নাকি সময়সীমার থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল । তারপর ২০২০ সালে আদিগঙ্গাকে পুনরুদ্ধার করতে রাজ্য সরকার , কলকাতা পৌরসভা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং শুধু পুনরুদ্ধার নয় , দখলদারদের উচ্ছেদ করে পুনর্বাসন এবং পূরোনো মানচিত্র ধরে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছিল । বর্তমান সময়ে আদিগঙ্গার বুকে জমি দখল এবং অপরিকল্পিত ও অবৈধ নির্মাণকাজই বর্ষার সময়ে আদিগঙ্গার কারণে কলকাতার মানুষের ভোগান্তির প্রধান কারণ । কিন্তু আমাদের সবথেকে রাজ্যে তো সবথেকে বড়ো প্রহসনের বিষয় হল , বর্তমান‌ তৃণমূল শাসকদেলের অধিকাংশ নেতারাই এই দখলদারি ও অবৈধ নির্মাণকার্জের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার খবর একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে । এমনকি অনেকেই বলে থাকেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কালিঘাটের বাড়িও অবৈধ দখলকৃত জমির উপর নির্মিত। সুতোরাং এরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা পৌরসভা কর্পোরেশন আদিগঙ্গা ইস্যুতে কিরকম ব্যবস্থা নেবে সেটা মানুষ স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করতে পারছে । আজ অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর লকগেট  পরিদর্শনে এসে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক তারক সিংহ মহাশয় 'টালির নালা ' অর্থাৎ এই আদিগঙ্গা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে স্পষ্টভাবে জানিয়েই দেন , " টানা বৃষ্টি চললে দুর্ভোগ হবে ... কিচ্ছু করার নেয় ।"  এদিকে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের ' নমামী গঙ্গে ' প্রকল্পের আওতায় আসার অনুমোদন পেয়েছে আদিগঙ্গা ।  কিন্তু কেন্দ্র বিরোধী এই রাজ্য সরকার কেন্দ্রের এই প্রকল্পে কতটা সহায়তা করবে সেটা অত্যন্ত সংশয়ের বিষয় । এখন কেন্দ্রের শাসকদল তথা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনের সংকল্পপত্রে আদিগঙ্গা ইস্যুকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল এবং এখনও এই জলপ্লাবিত শহরের মরশুমে  ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়ালের অন্যতম বড়ো অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই আদিগঙ্গা ইস্যু । এখন দেখার বিষয় এই আদিগঙ্গার অভিষাপ থেকে মুক্তি পেতে বাংলা তথা কলকাতার মানুষরা বিজেপির উপর ভরসা রাখে কি না ।

( উপরোক্ত প্রবন্ধটি আমার ব্যক্তিগত উপস্থাপন কৌশলীর মাধ্যমে তুলে ধরা হলেও , প্রবন্ধটি তৈরির জন্য বিভিন্ন  সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি । সব সূত্রের নাম হয়তো উল্লেখ করা সম্ভব হবে না বিশেষত যেগুলো Google , Youtube এবং Facebook থেকে অগোছালো (random) ভাবে পেয়েছি । তবে সেগুলোর মধ্যে 'Times of India ' portal , ' The Third Pole ' portal , 'প্রতিদিন ' পোর্টাল , ' কাশীনগর বৃত্তান্ত ' নামক ফেসবুক গ্রুপ , 'বলো কি জানতে চাও' youtube channel ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । কিছু ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের থেকে বিশেষ সহায়তা পেয়েছি, তাদের মধ্যে আমার এক সাংবাদিক বান্ধবী , একজন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ মহাশয় এবং একজন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক মহাশয়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগীতার কারণে এই প্রবন্ধ আরও সমৃদ্ধ ও তথ্যবহুল হয়েছে )

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের