*করো না যে রে  ঘর বন্দী  মহাদেব*   
                          

 মনোজ দাস: হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চৈত্র মাসের শেষের দিকে পালিত হয় নীল পুজো।কথাটি নীলকন্ঠ থেকে এসেছে দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত উত্তোলনের সময় গরল বিষ উঠে আসে সেই বিষ দেবাদিদেব মহাদেব তার কন্ঠে ধারণ করে l বিষ এর ফলে মহাদেব শরীর নীল আকার ধারণ করে তাই মহাদেব কে নীলকন্ঠ রূপে পরিচিত। তাই নীলকণ্ঠ দেবাদীদেব মহাদেব কে বলা হয়।এই দিনটি বিশেষ করে পালন করে বিবাহিত মহিলারা স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য।প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরের পুজো একটু অন্যরকম। 


দেশে চলছে মহামারীর প্রভাব সারা দেশ এ কার্যকরী আছে lockdown এ মত অবস্থায় মন্দিরে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢেলে শিবকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না ঘরের গৃহবধূরা।প্রত্যেক টা মন্দির এখন বন্ধ তাই পুরোহিতের পুজোয় সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে এবছর দেবাদীদেব মহাদেব কে।শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিভিন্ন শিব মন্দিরে সেখানে একাংশে আছে সদর ট্রাফিক অফিস ,সেখানে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয় অনিবার্য কারণে এই বছর নীল পূজা স্থগিত।প্রতি বছর সেই সব মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয় কিন্তু এবছর কার্যত সুনসান।যেহেতু কোনো মন্দির খোলা নেই তাই ঘরের গৃহবধুরা  নিজেও ঘরে  শিবের মাথায় সারাদিন উপোস করে ভক্তি ভোরে শিবের মাথায় জল ঢালেন নিজের বাড়িতে lস্বামী সন্তানের সুখের সাথে সকলের মঙ্গল কামনা করেন।

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের