করোনা রোগী হোম
কোয়ারেন্টিনে, এলাকা জুড়ে আতঙ্ক
সৃঞ্চিনী পোদ্দার,
কামারহাটিঃ লাফিয়ে লাফিয়ে বেরেই চলেছে করোনায় আক্রান্ত্রের সংখ্যা। একদিনে দেশে
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪১৫৬২৫। ফের করোনার হদিশ কামারহাটির শ্রীপল্লী
এলাকায়। বছর ৪৭ এর মহিলার শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার
৯২ নম্বর বাড়ির গৃহকর্ত্রী করোনায় আক্রান্ত। তাঁর নাম ববিতা মুখার্জী। পরিবার সূত্রের খবর, লকডাউন শুরুর পর থেকে ববিতাদেবী বাড়ির বাইরে বেরোননি। তবে কিভাবে তিনি
করোনায় আক্রান্ত হলেন সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রবীর মুখার্জীর
স্ত্রী ববিতাদেবী এখন পৌরসভার অনুমতিতেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তাঁর পরিবারের
সকলের এখনও হয়নি কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা। পরিবারে ৫জন সদস্য। প্রবীরবাবু পেশায়
একজন পুলিশ প্রশাসক। তিনি পেশাগত সূত্রে বহু জায়গায় ইতিমধ্যে যাওয়া আসা করেছেন। অথচ
তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলের এখনও কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই
ববিতাদেবী ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। গত দুদিন আগে কলকাতার অ্যাপোলো বেসরকারি
হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে গেলে করোনা পরীক্ষার জন্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে
জানা যায় যে, তিনি করোনা আক্রান্ত। হাসপাতাল থেকে তারপর থেকে তাঁকে হোম
কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন আপাতত ববিতা দেবী সহ পরিবারের সকল সদস্য
বাড়িতেই রয়েছেন। খবরটি জানা মাত্রই ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শ্যামল
চক্রবর্তী মহাশয় পৌরসভায় জানালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এসে দুদিন পর করোনা আক্রান্ত
ব্যাক্তিটির বাড়ি স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়। এমনকি প্রবীর বাবু কাজের সূত্রে যেই
গাড়িটি ব্যবহার করতেন সেই গাড়িটিও স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়। এখন আপাতত পাড়ার লোকজন
গিয়ে তাদের খাবার দাওয়ার পৌঁছে দিয়ে আসছেন।
এই ঘটনায় এলাকায়
বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের অনুমান , পরিবারের কারোর স্বাস্থ্য
পরীক্ষা কেন হলো না। এর থেকে তো করোনা সংক্রমন ছড়াতে পারে। একজন করোনা রোগীকে ঘন
জনবসতি পূর্ণ পাড়ার মাঝে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আপত্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।
পৌরসভা থেকে এই খবর পাওয়া মাত্র আজ তারা জানিয়েছেন যে, দ্রুততার সাথে ওই বাড়ির চারপাশ
ভালোভাবে স্যানিটাইজ করে সিল করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
Comments
Post a Comment