**** বাম সহায়তায় কম পয়সায় করোনা পরীক্ষা শিবির ****

বলোরাম বোস, বেলঘরিয়াঃ করোনা ভাইরাসের জন্য যখন দেশ এবং রাজ্য লকডাউন শুরু হয় সেই সময় থেকে বামপন্থী ছাত্র যুব শ্রমিক সংগঠন সহ সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নামে । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কথা ভেবে করোনা রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষের হাতে মাক্স , হ্যান্ড স্যানিটাইজার, এমনকি চালডাল , সবজি , বাচ্চাদের দুধ এবং অঞ্চলকে জীবানুমুক্ত করার কাজে তারা লিপ্ত হযইয়েছে। যে কাজ করার কথা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে পৌরসভার পক্ষ থেকে সেই কাজ সিপিআইএম টেক্সএমএকো দেশপ্রিয় নগর এরিয়া কমিটি দায়িত্বের সাথে মানুষের পাশে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবার জন্য তারা উদ্যোগী হয়। আমফানে ক্ষতি হওয়া পরিবারের মাথার ছাদ জোগাড় করতে সাথে থেকেছে বাম। দিনের পর বিদ্যুতের বিল এবং পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্ষরিগ্রস্ত পরিবারদের সাথে নিএয় বিভিন্ন থানার সামনে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। আর তার মাঝেও রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামোর বেহাল দশা দেখেও চুপ সরকার। নেই কোনো পদক্ষেপ। বিনা চিকিৎসায় একের পর এক প্রাণ হারাতে হচ্ছে বহু রোগীকে। ঠিকমত টেস্ট হচ্ছে না। পরীক্ষা হলেও অনেকক্ষেত্রে মিলছে না রিপোর্ট। এই সমস্ত নানা অভিযোগে রোগীর পরিবার হাসপাতালে দ্বারস্থ হলে জুটছে ধমক আর শাসানি। শেষমেষ আর হাল ফেরাতে না পেরে বামেরা নিজেদের উদ্যোগে স্বল্প মুল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিল। এবার করোনা ভাইরাসের এন্টি বডি টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়।  চেন্নাইয়ের এন্ডারসন লেবোটারি মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে এই পরীক্ষা করা হল । টেক্সম্যাকো দেশপ্রিয় নগর লোকাল এরিয়া কমিটির অফিস উপেন সেন স্মৃতিভবনে এই টেস্টের করার কর্মসূচি গ্রহণ করা । প্রধান লক্ষ্য প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে যারা কাজ করছে তাদের শরীরের পরীক্ষা করা,  সংবাদমাধ্যমের কর্মী , পুলিশকর্মী, পৌরসভার যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছে প্রতিদিন এবং ছাত্র-যুব শ্রমিক সংগঠনের কর্মী এবং পার্টির কর্মী যারা প্রতিদিন মানুষের স্বার্থে এই ভয়ানক ভাইরাসের আক্রমণের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে প্রতিদিন যায় রাস্তায় বেরিয়েছে সেই কর্মীদের স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে তাদের পরীক্ষা করা হয়।  তার সাথে সাথে এলাকার মানুষ উৎসাহের সাথে এই পরীক্ষা করতে আসেন প্রায় ১০০ জনের উপরে মানুষ এই পরীক্ষা করে।  এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পী বাদশা মৈত্র এবং বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী মনীষা আদব , সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি তথা সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য সুভাষ মুখার্জি , সি আই টি ইউ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদিকা ও সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য গার্গী চ্যাটার্জী , সিপিআইএম উত্তর 24 পরগনা জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য প্রদীপ মজুমদার ও সিপিআইএম উত্তর 24 পরগনা জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বেলঘড়িয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক ঝন্টু মজুমদার সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীরা।  বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পী বাদশা মৈত্র ও তার সহধর্মিনী বিশিষ্ট নাট্যকার মনীষা আদব এই জায়গাতে তাদেরও টেস্ট করান ।
মানুষ কোথায় টেস্ট করবে কিভাবে টেস্ট করবে বুঝে উঠতে পারছে না । যেখানে বারবার করে ডাক্তাররা বলছেন টেস্ট টেস্ট সেখানে যে দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল পৌরসভা এবং রাজ্য সরকারের সেই দায়িত্ব পালন করছে সিপিআইএম টেক্সম্যাকো দেশপ্রিয় নগর লোকাল এরিয়া কমিটির কর্মী-সমর্থকরা।  প্রত্যেকেরই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে আসছে এই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার দুটোই অপদার্থ এবং ব্যর্থ যারা দেশের এবং রাজ্যের মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারে না । তাদের সরকারে থাকার অধিকার নেই। দুটি সরকারি খালি বিজ্ঞাপনের মধ্যে রয়েছে শুধু বিজ্ঞাপন এবং বড় বড় মিথ্যে ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছে । আগামী নির্বাচনে মানুষ এই দুটো রাজনৈতিক দলকে উচিত শিক্ষা দেবে । ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা চুরি । ঝড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত সরকার বা সরকারি দলের কর্মীরা পৌঁছয়নি । সেই দায়িত্ব বামপন্থীরাই পালন করেছে মানুষ বুঝতে পারছে কাছের মানুষ কারা । আগে দিদির বাড়ি পর্যন্ত টাকা পৌঁছে যেত 75% 25% ভাগ করে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভাইদের জন্য ভাইরা এবার বুঝে গেছে একুশে আর আসতে পারবেনা তাই এই শেষ সুযোগ লুটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে গরিব মানুষের টাকা 100 দিনের কাজের টাকা রেগা প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চুরি করে খেয়ে নিচ্ছে এই তৃণমূলের কর্মী নেতারা আগে নির্বাচন পার করেছে । সারোদা নারোদা টাকা দিয়ে এবার এই নির্বাচন পার করবে । আমফানের এবং করোনা ভাইরাস এর জন্য লোক ডাউনের সময় প্রকল্পের গরিব মানুষের চাল-ডালের পয়সা চুরি করে রেশনের জিনিস চুরি করে বামপন্থীরা আগেও গরীব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ছিল আগামী দিনেও সব শক্তি দিয়ে এই গরীব মানুষের পাশে থাকবার জন্য তারা অঙ্গীকারবদ্ধ । নেতৃত্ব এবং উপস্থিত প্রত্যেকে তারা বলেন , এটা সরকার না । একটা সার্কাস দল চলছে । একবার থালাবাসন বাজাও, শাঁখ বাজাও , ঘন্টা বাজাও , দীপ জ্বালাও,  আলো জ্বালাও,  প্রধানমন্ত্রী বলে বেড়াচ্ছে আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দলবল নিয়ে বেরিয়ে গণ্ডি কাটছে মাক্স বিলি করছে মানুষ কিভাবে চলবে হাত পরিষ্কার করবে হাত ধোবে কিভাবে খালি এই বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে । কিন্তু হাসপাতালে গেলে ভর্তি হতে পারছে না মানুষ হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই রাজ্য সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীন একটি অপদার্থ সরকার মানুষ আগামী দিনে এদের উচিত শিক্ষা দেবে শুধু তার অপেক্ষায় থাকতে হবে। 

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের