***** রাজ্যে তৃতীয় খড়দহ রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের অরিত্র ******

বলোরাম বোস, খড়দহঃ চলতি বছরের সমস্ত বার্ষিক পঞ্জিকা বদলে দিয়েছে করোনা।  এই করোনা মহামারিকালে তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেতেও যথেষ্ট সময় লেগে গিয়েছে। পরীক্ষার ১৩৯ দিনের মাথায় এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হল। রোগব্যাধির সাথে সংগ্রাম কালের মাঝেও যথেষ্ট ভালো ফলাফল হয়েছে রাজ্য জুড়ে। মাঝমিক পরীক্ষায় রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে অরিত্র মাইতি। ৬৯০ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় খড়দহ রামকৃষ্ণ বয়েজ হোমের সকল ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে সে।
আগামীদিনে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করতে চায় সে। প্রথম শ্রেণী থেকে অরিত্র  খড়দহ রামকৃষ্ণ বয়েজ হোমে পড়াশুনো করে। প্রত্যেক বছর ক্লাসে প্রথম হয় সে। তাই এই পরীক্ষায় তার খুব ভালো রেজাল্ট হবে বলে আশা ছিল স্কুলের সকলের মত অরিত্রর পরিবারের সকলেরও। প্রথম ১০ জনের মাঝে স্থান পেয়ে খুবই উচ্ছ্বাসিত তার আত্মীয়স্বজন।
খড়দহ রহড়া অঞ্চলের পশ্চিম পাড়ার ছেলে অরিত্র মাইতি। বাবা ধনঞ্জয় মাইতি পেশা সূত্রে সিইএসসি অফিসে কর্মরত। মা সুতপা মাইতি, গৃহকর্তী। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অরিত্র উচ্চশিক্ষার জন্যে এখন থেকে জোর কদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
পড়াশুনোর পাশাপাশি অরিত্র গল্পের বই পড়তে খুব ভালোবাসে। সত্যজিৎ রায়ের রহস্যময় নানা গল্প সে অবসর সময় পড়ে সময় কাটায়। তার পাশাপাশি ফুটবল খেলার প্রতি ব্যাপক ঝোঁক ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যে খেলাধুলো বন্ধ ছিল। তা না হলে বন্ধুদের সাথে রুটিং করে পড়ার সাথে খেলাধুলো করতে ভালোবাসত সে। টেস্টের পর থেকে দিনে ৭-৮ ঘন্টা করে পড়াশুনো করত অরিত্র। মাধ্যমিকে ভালো ফল করার ক্ষেত্রে তার গৃহ শিক্ষকদের সাথে সাথে মিশনের মহারাজের ভূমিকাও ছিল অপরিসীম । জানান অরিত্র মাইতি।
করোনার সংক্রমণের জেরে বাড়ি গিয়ে মিষ্টি মুখ করাতে না পারলেও রেজাল্টের কথা শুনে ফোনেতেই সকাল থেকে সমস্ত আত্মীয় স্বজন, শিক্ষকেরা এমনকি বন্ধুবান্ধবেরা শুভেচ্ছা জানালো । 

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের