মঙ্গলাপোতা রাজবাড়ির ইতিকথা


নিজস্ব প্রতিবেদন, পঃ মেদিনীপুরঃ বাঙ্গালীর অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গোৎসব। আশ্বিনের শুক্লপক্ষে পুজিত হন দেবী দুর্গা। থিমের দুনিয়ায় বর্তমানে বহু ক্লাব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় ধুমধাম আকারে আয়োজিত হয়ে থাকে দুর্গা পুজোর। তবে বাঙ্গালীর আবেগ জড়িয়ে থাকে বনেদী বাড়ির পুজো কিংবা বাঙ্গলার প্রাচীন রাজবাড়ির দুর্গা পুজোতে। আর সেই রকমই একটি প্রাচীন রাজবাড়ির অজানা ইতিকথা তুলে ধরলো বাংলা সংবাদ মাধ্যম TV9 বাংলা। মঙ্গলাপোতা রাজবাড়ির দুর্গাপুজো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে একটি অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো। আর এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান রকম কিংবদন্তি এবং ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।  ৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো এই জেলার মঙ্গলাপোতা রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। তবে এই রাজবাড়ীর দুর্গাপুজোয় বিশেষ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। যার টানে ঈশ্বর বিশ্বাসী ভক্তেরা দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন নিজেদের মঙ্গল কামনায়। পঃ মেদিনীপুর জেলার একটি অন্যতম প্রাচীন এই রাজবাড়ির দুর্গা দালানে আজও রয়েছে মা সর্বমঙ্গলাদেবীর আসল ঘট। যা শত শত বছর পরেও আজও কেবল মঙ্গলাপোতা রাজবাড়ির গল্প বহন করে চলেছে তা নয়; বহন করে চলেছে বাঙালিয়ানার গল্প। 

আজ থেকে দেড়শো বছর আগে পিছনে তাকালে দেখা যাবে যে, সেই রকম বাংলায় বারোয়ারি পুজোর কোন কথা পাওয়া তেমন যাবে না। তবে চারশো বছরের পুরনো জেলার এই অন্যতম প্রাচীন রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস আজও কৌতূহল করে তোলে বাঙ্গালীদের। পূজোকে ঘিরে কোথাও পাঁঠাবলি, কোথাও মহিষবলি। আবার কোথাও নরবলির চল রয়েছে। হ্যাঁ নরবলি হত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন এই দুর্গাপুজোতেও। তবে এর পিছনে রয়েছে অনেক কাহিনী। আর এই সমস্ত অজানা নেপথ্য কাহিনী তুলে ধরতে মঙ্গলাপোতা রাজবাড়িতে হাজির TV9 বাংলার টিম। তুলে ধরেন এই রাজবাড়ির দুর্গা দালানের প্রতিটি কোনের ইতিহাস। 

চারশো বছরেরও বেশি পুরোনো এই মঙ্গলাপোতার দুর্গাপুজোর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এখানকার পুজোতে চারটি তরবারির পুজো করা হয়। যা সুদীর্ঘকাল ধরে পুজিত হয়ে আসছে। এর মধ্যে একটি তরবারির পুজো করা হয় জিতাষ্টমীর দিন, একটি তরবারির পুজো মহালয়ার দিন, একটি মহাষষ্ঠীর দিন আর চতুর্থটির পুজো হয় মহাসপ্তমীর দিন। এই চতুর্থ তরবারিটি যেটি মহাসপ্তমীর দিন পূজিত হয় সেটি একটি বিশাল আকারের তরবারি। সেদিন সুদুর প্রান্ত থেকে অগণিত ভক্তেরা ভিড় করেন রাজবাড়িতে। কথিত আছে, তৎকালীন উড়িষ্যা রাজ্যের বীরযোদ্ধা সামসের জং বাহাদুর মা কালীর সাধনা করে এই তরবারি লাভ করেন। আর তাই প্রতি বছর নিজেদের মঙ্গল কামনায় ভক্তেরা আসেন এই রাজবাড়ির দুর্গাপূজোতে। আসেন তরবারির পুজোতেও। 

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের