সহযোগিতার প্রচেষ্টা বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত এক যুবকের পরিবারকে

কল্যাণ দত্ত, বর্ধমানঃ আকস্মিক বৈদ্যুতিক শকে এক যুবকের মৃত্যুতে তার পরিবার অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছিলেন। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার, খন্ডঘোষ ব্লকের, শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়মানা গ্রামের। এই গ্রামেরই এক দুঃস্থ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব‍্যক্তি ছিলেন শ‍্যামসুন্দর দাস। কিন্তু হঠাৎই বৈদ্যুতিক শকে প্রাণ হারান তিনি। ফলেই শ‍্যামসুন্দরের বিধবা মা, বৃদ্ধা ঠাকুমা, স্ত্রী লিপিকা দাস ও আট বৎসর এবং দুই বৎসর বয়সের দুই পুত্রসন্তানকে দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছিল। কিন্তু শ‍্যামসুন্দরের অবর্তমানে পরিবারটি যাতে তৎপরতার সাথে আর্থিক সুবিধা পেয়ে উপকৃত হয় তার জন‍্য‌ই জেলা পরিষদ সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় উদ‍্যোগী হয়েছেন। এই পরিবার যাতে অতিসত্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের মৃত্যু জনিত দুই লক্ষ টাকার সুবিধা পায় তার জন‍্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক সহযোগে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চড়মানা গ্রামে মৃত শ‍্যামসুন্দর দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেন, জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বনাথ রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত কুমার বাগদী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রেখা বিশ্বাস ও প্রকল্প আধিকারিক শুভ্র ঘোষ।

 ইতিহাস সাক্ষী আছে, যারা মানুষের পাশে আস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তারাই মানবতার মূল কারিগর। এখনো কিছু মানুষ আছেন যারা জীবন বলতে শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকা বোঝেন না, বরং মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারলে তারা শান্তি পান। এমনই এক ব্যক্তিত্ব হলেন বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়।মৃত শ‍্যামসুন্দরের পরিবারের ক্ষেত্রেও নিজেদের অবস্থান থেকে সাধ্যমত এগিয়ে আসার চেষ্টা করছেন জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বনাথ রায় থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও সদস্যা। জেলা পরিষদ সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় তাদের বলেছেন,  "আমরা যতটা পারব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।" অন্যদিকে মাথার উপর আশ্বাসের হাত পেয়ে আপ্লুত মৃত শ‍্যামসুন্দরের পরিবার।

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের