**রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে ছটের আগের দিনও রাজপথে রইল 'ঐক্য বাংলা'**



নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা : গতকাল সুপ্রিম কোর্ট পরিবেশ আদালত ও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। সুতরাং ধরেই নেওয়া যায় যে এই বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হবে না। 


তবে গত দু বছরে যেভাবে রবীন্দ্র সরোবরে তান্ডব হয়েছিল তাতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলিও। তবে এইসবের মধ্যেও যথাসম্ভব লড়াই করে যাচ্ছে বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'ঐক্য বাংলা'। 


বিগত এক সপ্তাহ ধরেই এর প্রতিবাদে সই সংগ্রহ থেকে শুরু করে রবীন্দ্র সরোবর থানায় স্মারকলিপি প্রদান, পোস্টারিং ইত্যাদি সম্বলিত এক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে 'ঐক্য বাংলা'। 


'ঐক্য বাংলা'র সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী সুলগ্না দাশগুপ্ত জানালেন , " আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে সামাজিক মাধ্যমে ক্রমাগত জনমত গঠন করে চলেছি। রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে প্রচুর বাঙালি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের নির্দিষ্ট বয়ানে তাঁরা সই করেছেন। এর আগেও আমরা পথে নেমে লিফলেট বিলি করেছি। আজকে আমরা রবীন্দ্র সরোবর থানায় স্মারকলিপি প্রদান করেছি , আমরা কেমডিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছি। এরপর আমরা পোস্টারিং কর্মসূচিও করেছি। সবকিছুর থেকে বড় কথা আগামীকাল আমরা রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে থাকবো।আইন মেনে প্রশাসনের সহায়তার মাধ্যমে বেআইনি কার্যকলাপ এর প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ রুখে দেবো। "



সংগঠনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় সদস্য ঐক্যযোদ্ধা অভিজিৎ গুহ নিয়োগী জানালেন , " আমরা রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে বদ্ধপরিকর। এটা শুধু বাঙালির গর্ব নয় , এটা 'কলকাতার ফুসফুস' । আমরা যদি রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে।" 


স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঐক্যযোদ্ধা সৌম্য চৌধুরী জানান , "প্রশাসনকে সতর্ক করা এবং আমাদের আবেদন জানানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা কেমডিএ কর্তৃপক্ষ ও রবীন্দ্র সরোবর থানাকে আবেদন জানিয়েছি যে রবীন্দ্র সরোবর রক্ষার্থে তাঁরা যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আমাদের বিশ্বাস তাঁরা সঠিকভাবে আদালতের রায়কে বলবৎ করবেন। " 


পোস্টারিং কর্মসূচি প্রসঙ্গে সংগঠনের তরুণ সদস্য পঙ্কজ বৈদ্য জানালেন , "আমরা এর আগেও লিফলেট বিলি করেছি। আজকে আমরা রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে পোস্টারিং কর্মসূচি গ্ৰহণ করলাম। আশা করি সাধারণ বাঙালি আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন।"


সংগঠনের আর একজন সদস্য অরিজিৎ শেঠ জানালেন , "আমরা কোনো ধর্ম বিরোধী নই। আমরা রবীন্দ্র সরোবরে ছট সহ যে কোনো ধর্মীয় উৎসব পালনের বিপক্ষে যাতে করে রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। " 



ঐক্য বাংলা জানিয়েছে তারা ছটের দিন পথে থাকছে। সংগঠনের তরুণ সদস্য দেবায়ন সিংহ জানান , " আমরা সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন বাঙালি তথা গর্বিত কলকাতাবাসীর কাছে আবেদন রাখছি , আপনারা আসুন , ওইদিন পথে নামুন , আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। রবীন্দ্র সরোবরকে যে কোনো মূল্যে বহিরাগতদের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। " 


সুতরাং একের পর এক অভিনব পদ্ধতি গ্ৰহণ করে যেভাবে কার্যকরী কর্মসূচি গ্ৰহণ করছে এই মুক্তপন্থী বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠনটি , তাতে এই বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট না হলে , সিংহভাগ কৃতিত্ব যে তাঁদের প্রাপ্য , সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না। আশা করা যায় বাংলার প্রানের শহর কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে অনেক সচেতন বাঙালি এগিয়ে আসবেন এই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এ ঐক্য বাংলার পাশে দাঁড়াতে।

Comments

Popular posts from this blog

বঙ্গ গৌরব উৎসব সম্মান পেলেন মৌসুমী দাস

বেলঘরিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে উদ্বার বেআইনি একাধিক স্কুটি

সমাজ সেবা করাই নেশা নীলকণ্ঠের